উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির করোনা সংক্রমণের সংখ্যা হয়চ খুব বেশি এখনও নয়, কিন্তু সোমবার এই অঞ্চলে সংক্রমিতের সংখ্যার বড়সড় বৃদ্ধি ঘটেছে। ত্রিপুরায় একদিনে ১০০ সংক্রমণ ধরা পড়েছে, অরুণাচলপ্রদেশে সংক্রমিত ৪ থেকে ২০তে পৌঁছিয়েছে এবং মণিপুরে ৭৮ থেকে তা পৌঁছিয়েছে ৮৩-তে।
এই অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি করোনাপ্রভাবিত রাজ্য হল আসাম ও ত্রিপুরা। কার্যত আসাম এখন দেশের মধ্যে যে সব রাজ্যে সংক্রমণ দ্রুততম হারে বাড়ছে, তার অন্যতম। গত এক সপ্তাহে এ রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়েছে. ২৫ মে যে সংখ্যা ছিল ৫২৬, তা এখন ১৪৬৪। দ্বিগুণত্বের হাত ৪.৫ দিন। সোমবার আসামে মোট ১৯২ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক- এসবে কতটা লাভ?
ত্রিপুরার ক্ষেত্রে শুরুতে ধলাইয়ের বিএসএফ শিবিরেই মূলত সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল, ১৫০ জনের বেশি সংক্রমিত হয়েছিলেন। তবে নতুন সংক্রমণ এখানে যা ধরা পড়েছে তা মূলত বাইরে থেকে আসা পরিযায়ীদের মধ্যে, যেমনটা দেখা যাচ্ছে আসাম ও অন্যান্য রাজ্যেও। ত্রিপুরায় বর্তমান সংক্রিমতের সংখ্যা ৪১৮, রাজ্যে গত এক সপ্তাহে ২২০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
নাগাল্যান্ডে সোমবার আরও ৬ জনের সংক্রমণের পর সে রাজ্যে এখন সংক্রমিত ৪৯ জন, মেঘালয়ে আরও একজনের সংক্রমণ ধরা পড়ায় সে রাজ্যে সংক্রমিতের সংখ্যা ২৮। মিজোরাম ও সিকিমে একটি করে সংক্রমণ রয়েছে।
চারদিন পর, সোমবার দিল্লিতে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ১০০০-এর নিচে নেমেছে। এখানে ৯৯০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে দিল্লিতে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। সোমবার দিল্লিতে ৫০ জনের মৃত্যু ঘটেছে। দেশে নিশ্চিত সংক্রমিতের সংখ্যা ২ লক্ষ ছুঁইছুঁই। এখন সংক্রমণে ভারতের থেকে এগিয়ে মাত্র ৬টি দেশ। সোমবার দেশে সব মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
করোনা টেস্টিংয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে তামিলনাডু। দেশের মধ্যে প্রথম রাজ্য হিসেবে তারা ৫ লক্ষ টেস্ট করিয়ে ফেলেছে। মহারাষ্ট্রেও টেস্টের গতি বাড়ানো হচ্ছে, সেখানে পরীক্ষা করা হয়েছে ৪.৭১ লক্ষ জনের।