পর পর তৃতীয় দিনে ৩০০০ -এর বেশি করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর রবিবার দিল্লি নিশ্চিত সংক্রমণের দ্বিতীয় শীর্ষ রাজ্যে পৌঁছল।
দিল্লিতে এখন নিশ্চিত সংক্রমিতের সংখ্যা ৫৯,৭৪৬, যার মধ্যে ১৮৫৬৪ জনের (এক তৃতীয়াংশের সামান্য কম) সংক্রমণ ধরা পড়েছে গত এক সপ্তাহে। তৃতীয় স্থানে চলে যাওয়া তামিলনাড়ুতে নিশ্চিত সংক্রমণ ৫৯, ৩৭৭।
১.৩২ লক্ষ সংক্রমণের মহারাষ্ট্র অনেক এগিয়ে থাকলেও দিল্লি দ্রুত মুম্বইকে ধরে নেবে বলে মনে হচ্ছে, এমনকি তাকে ছাপিয়েও যেতে পারে। মুম্বইয়ে এখন সংক্রমণ সংখ্যা ৬৬৫০০, কিন্তু সম্প্রতি তাদের সংখ্যা বেশ হ্রাস পেতে শুরু করেছেষ গত এক সপ্তাহে এখানে ৮০০০ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যেখানে দিল্লিতে এই সংখ্যা ১৮ হাজারের বেশি।
৪১, ১৭২ সংক্রমণ নিয়ে খুব পিছিয়ে নেই চেন্নাইও। এই তিন শহরের অবদান দেশের মোট সংক্রমণের ৪০ শতাংশ।
সংক্রমণে শীর্ষ ১০ রাজ্য
রাজ্য |
মোট পজিটিভ |
নতুন সংক্রমণ |
মোট আরোগ্য |
মৃত্যু
|
মহারাষ্ট্র |
১৩২০৭৫ |
৩৮৭০ |
৬৫৭৪৪ |
৬১৭০ |
দিল্লি |
৫৯৭৪৬ |
৩০০০ |
৩৩০১৩ |
২১৭৫ |
তামিলনাড়ু |
৫৯৩৭৭ |
২৫৩২ |
৩২৭৫৪ |
৭৫৭ |
গুজরাট |
২৭৩১৭ |
৫৮০ |
১৯৩৫৭ |
১৬৬৪ |
উত্তরপ্রদেশ |
১৭৭৩১ |
৫৯৬ |
১০৯৯৫ |
৫৫০ |
রাজস্থান |
১৪৮১৭ |
৩৯৩ |
১১৪৮৪ |
৩৪৯ |
পশ্চিমবঙ্গ |
১৩৯৪৫ |
৪১৪ |
৮২৯৭ |
৫৫৫ |
মধ্যপ্রদেশ |
১১৯০৩ |
১৭৯ |
৯০১৫ |
৫১৫ |
হরিয়ানা |
১০৬৩৫ |
৪১২ |
৫৫৫৭ |
১৬০ |
কর্নাটক |
৯১৫০ |
৪৫৩ |
৫৬১৮ |
১৪১ |
রবিবার যে মোট ১৪ হাজার নতুন সংক্রমণের হদিশ মিলেছে তার মধ্যে ৭০০০ দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে ঘটেছে। ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট ৪.২৫ লক্ষ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ২.২৭ লক্ষ ইতিমধ্যেই সেরে গিয়েছেন।
গত এক সপ্তাহে ৯০ হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণ সারা দেশে ধরা পড়েছে। সপ্তাহভিত্তিক তুলনায় দেখা যাচ্ছে এ সপ্তাহে সংক্রমণ আগের কয়েক সপ্তাহ থেকে অনেকটাই বেশি। যেমন ঠিক আগের সপ্তাহে ৭ থেকে ১৪ জুনে নতুন সংক্রমণ ছিল ৭৫ হাজার, তার আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৬৬ হাজার।
সংক্রমণের সংখ্যাবৃদ্ধি যেমন ঘটছে, তেমন বাড়ছে পজিটিভিটির হারও। অর্থাৎ, যতজনের পরীক্ষা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে সংক্রমিতের হারে সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটছে। শনিবার প্রথম ভারতে পজিটিভিটির হার ছিল ৬ শতাংশ, রবিবার তা আরও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সব মিলিয়ে দেশে বৃদ্দির হার এখনও কমছে।
রবিবার সাপ্তাহিক ভিত্তিতে করা বৃদ্ধিহার ছিল ৩.৫৮ শতাংশ। তবে দেশের ১৯ রাজ্যে বৃদ্ধির হার জাতীয় হারের চেয়ে বেশিষ এর মধ্যে রয়েছে দিল্লি, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ও তেলেঙ্গানা। কিন্তু মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্তান ও মধ্যপ্রদেশে শ্লথ বৃদ্ধিহার ভারতকে দ্রুততর বৃদ্ধিহারের থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।