Advertisment

Explained: সবচেয়ে সংকটময় মুহূর্তে এনসিপি, শরদ পাওয়ারের ক্যারিশমা?

মাত্র ৩৭ বছর বয়সে মহারাষ্ট্রের কনিষ্ঠতম মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন শরদ পাওয়ার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Sharad and Ajit Pawar

ফাইল ছবি

জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস দল বিপর্যস্ত। দলের পিতৃপুরুষ শরদ পাওয়ারের ভাগ্নে অজিত পাওয়ার, মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি-শিবসেনা (শিণ্ডে) জোটের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। রাজ্যের দ্বিতীয় উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। দলের ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনই তাঁর সঙ্গে আছে বলে দাবি করেছেন। অজিত পাওয়ার বুধবার (৫ জুলাই) তার ৮৩ বছর বয়সি কাকার কাছে থেকে বারবার এনসিপির নাম ও প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়ার দাবি করেছেন। তাঁর কাকার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, 'আপনার বয়স এখন ৮৩। আপনি কি কোনও দিন থামবেন, নাকি?'

Advertisment

প্রবীণ রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুহাস পালশিকর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের জন্য লিখেছেন, 'শরদ পাওয়ারের জন্য, এটি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত হতে পারে।' যদিও, কেন্দ্রে মোদী সরকার আসার পর ২০১৪ সাল থেকে এই সংগঠনের সংগ্রামের ইতিহাস আরও সংকটময় হয়েছে। ১৯৯৯ সালে এনসিপি তৈরির আগে শরদ পাওয়ার ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৪০ সালে পশ্চিম মহারাষ্ট্রের আখ চাষের কেন্দ্রস্থল তথা পুনে থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বের বারামতিতে কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শরদ পাওয়ারের বাবা গোবিন্দরাও এই অঞ্চলে সমবায় চিনিকল স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

অল্প বয়স থেকেই তিনি ছিলেন রাজনীতিতে আগ্রহী। পাওয়ার ১৯৫৮ সালে কংগ্রেস পার্টির যুব শাখায় যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৬০-এর দশকের প্রথম থেকে মধ্যভাগে, পার্টির মহারাষ্ট্র ইউনিটের অন্যতম উজ্জ্বল তরুণ নেতা ছিলেন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সেই সময়ে মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা যশবন্তরাও চহ্বানের অনুগামী ছিলেন। পাওয়ার ১৯৬৭ সালে বারামতি থেকে তাঁর প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেই নির্বাচনে তিনি জয়ী হন। ১৯৬৯ সালে কংগ্রেস পার্টি বিভক্ত হলে পাওয়ার ইন্দিরা গান্ধীর দলে যোগ দেন তার পরামর্শদাতা যশবন্তরাও চহ্বানের সঙ্গে।

আরও পড়ুন- সংবিধানেই নেই, এমন পদে বসলেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো

১৯৭৫-এ তিনি মহারাষ্ট্রে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হন। ১৯৭৮ সালে ৩৭ বছর বয়সে তিনি মহারাষ্ট্রের কনিষ্ঠতম মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। তারপর থেকে মহারাষ্ট্র এবং বাকি ভারত শুধুই শরদ পাওয়ারের উত্থান দেখেছে। কখনও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। কখনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে। শেষে, এনসিপি প্রধান আর মহারাষ্ট্র রাজনীতির চাণক্য হিসেবে। সেই সবই যেন এখন অজিতের চালে ফিকে হতে বসেছে।

Maharashtra Sharad Pawar ncp
Advertisment