Advertisment

Explained: ফের সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে সরব ধনখড়, কেন বারবার সংঘাত?

বুধবার ফের সুর চড়িয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Jagdeep Dhankar

উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়

ফের কলেজিয়াম ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তিনি আধিকারিক এবং বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার বিভাজন নিয়ে বলেছেন। আর, এই নিয়ে বলতে গিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনা করেছেন উপরাষ্ট্রপতি। এর আগে গত ৭ ডিসেম্বর, রাজ্যসভায় তাঁর প্রথম বক্তৃতায় ধনখড় ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাপয়নমেন্ট কমিশন অ্যাক্ট (এনজেএসি আইন)-এর প্রত্যাহারকে সংসদীয় সার্বভৌমত্বের 'গুরুতর আপস' এবং 'জনগণের আদেশ' উপেক্ষা বলে অভিহিত করেছিলেন। বোঝাতে চেয়েছিলেন যে মৌলিক কাঠামো কী এবং এটি কীভাবে আইনসভার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।

Advertisment

মৌলিক কাঠামোর মতবাদ কী?
মৌলিক কাঠামোর মতবাদ হল বিচারিক পর্যালোচনার একটি রূপ। যা আদালত দ্বারা যে কোনও আইনের বৈধতা পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়। ১৯৭৩ সালে কেশবানন্দ ভারতী বনাম কেরল রাজ্য মামলার ঐতিহাসিক রায়ে এই মতবাদ সুপ্রিম কোর্ট বিকশিত করেছিল। শীর্ষ আদালতের ১৩ সদস্যের এক সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল যে সংবিধানের 'মৌলিক কাঠামো' অলঙ্ঘনীয়, এবং সংসদ দ্বারা সংশোধন করা যাবে না। এই মামলায় ৭ জন বিচারপতি রায়ের পক্ষে ছিলেন। আর, ৬ জন বিচারপতি রায়ের সঙ্গে সহমত হননি।

ভারতীয় সংবিধানের মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী?
কেশবানন্দ ভারতী বনাম কেরল রাজ্য মামলার ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের বেশ কয়েকটি দিক উদ্ধৃত করে। যাকে 'মৌলিক বৈশিষ্ট্য' হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। যেমন, বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনা, আইনের শাসন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, গণতান্ত্রিক ও প্রজাতান্ত্রিক কাঠামো। একইসঙ্গে আদালত জানিয়ে দেয় যে তালিকাটা আরও লম্বা। তাই এটা মৌলিক বৈশিষ্ট্যের পূর্ণাঙ্গ তালিকা নয়।

আরও পড়ুন- ‘কেশরী’ মাথায় রাহুল, ছবি প্রকাশ পেতেই তুঙ্গে বিতর্কের ঝড়

কেন মতবাদের সমালোচনা করা হয়?
ভাইস প্রেসিডেন্ট ধনখড়ের মন্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের এই মতবাদ এবং এর প্রয়োগের বিরুদ্ধে কড়া সমালোচনা হয়ে উঠেছে। ধনখড় যেটা বোঝাতে চাইছেন তা হল, সুপ্রিম কোর্টের এই মতবাদ সংবিধানের পাঠ্যে পাওয়া যায় না। শুধু তাই নয়, সুপ্রিম কোর্টের এই মতবাদ আসলে বিচার বিভাগের সংসদের ক্ষমতা দখলের সামিল। ধনখড়ের মত সুপ্রিম কোর্টের এই মতবাদের সমালোচক নেহাত কম নেই। যেমন প্রবীণ আইনজীবী রাজু রামচন্দ্রনই যুক্তি দিয়েছেন যে সুপ্রিম কোর্টের এই মতবাদের ভিত্তিতে সংবিধানের সংশোধনী বাতিল করা আসলে 'অনির্বাচিত বিচারপতিদের' ক্ষমতা দেওয়ার শামিল। যা চূড়ান্ত 'গণতন্ত্র বিরোধী এবং সংখ্যাগরিষ্ঠতাবিরোধী'।

Read full story in English

supreme court Jagdeep Dhankhar Vice President
Advertisment