আরটি-পিসিআর থেকে সহজ পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষার উপায় বাতলে দিলেন নাগপুরের একদল গবেষক। স্যালাইন দিয়ে সহজেই করা যাবে করোনা পরীক্ষা।এতে কোনও প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর প্রয়োজন পড়ে না এতে। বর্তমান পদ্ধতিতে নাক এবং গলা থেকে নমুনা সংগ্রহের সময়ে অনেকেরই সমস্যা হয়। নয়া পদ্ধতিতে গার্গল করা স্যালাইন জল থেকেই তিন ঘণ্টার মধ্যে কোভিড রিপোর্ট পাওয়া সম্ভব।
এই পদ্ধতির উদ্ভাবক নাগপুরের ‘এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর বিজ্ঞানী কৃষ্ণ খৈরনারের নেতৃত্বাধীন বিজ্ঞানীরা। নতুন পদ্ধতিকে অনুমোদনও দিয়েছে আইসিএমআর। নতুন পদ্ধতিতে কী ভাবে করোনা পরীক্ষা করা হবে, তা নিয়ে টুইটারে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন খৈরনার।
তিনি জানান, এই পদ্ধতিতে যে কেউ নমুন সংগ্রহ করতে পারেন। একটি টিউবের ভিতর রাখা থাকবে স্যালাইন জল। ওই জল মুখে নিয়ে ১৫ সেকেন্ড ধরে গার্গল করতে হবে। তার পর তা ওই টিউবেই তা ফেলে দিতে হবে। এটাই নমুনা সংগ্রহের পদ্ধতি। ওই নমুনা এবার ল্যাবে নিয়ে গিয়ে অন্য আরেকটি বাফার সলিউশনের সঙ্গে মিশিয়ে ঘরের তাপমাত্রায় আধ ঘণ্টা মতো রেখে দিতে হবে।
তার পর ওই তরল নমুনাটি ৯৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৬ মিনিট ধরে ফোটালেই তা থেকে আরএনএ পাওয়া যাবে। যা থেকে সহজেই জানা যাবে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত কি না।
নতুন পদ্ধতিতে খুব সহজেই এবং কম সময়ে করোনা পরীক্ষা সম্ভব বলে জানাচ্ছেন খৈরনার। গ্রামে বিশেষত আদিবাসী এলাকায় একসঙ্গে বহু মানুষের করোনা পরীক্ষা সম্ভব এই পদ্ধতিতে।
বাংলা ধীরে ধীরে কোভিড বিধিনিষেধের সুফল মিলতে শুরু করেছে। দৈনিক সংক্রমণ নিম্নমুখী। বাড়ছে সুস্থতার হারও। তবে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংক্রমণের হার। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত একদিনে রাজ্যে নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৫১৪ জন। একদিনে করোনামুক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৭৭৪ জন।
এদিকে, রাজ্যে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। রাজ্যে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা নেমেছে ১ লক্ষ ২ হাজার ৩৯৮ জনে। সুস্থতার হার ৯১.৩২ শতাংশ। তবে দৈনিক মৃত্যু দেড়শোর কাছাকাছিই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার বলি ১৪৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা বেড়েছে করোনা পরীক্ষা। একদিনে টেস্ট হয়েছে ৬৩ হাজার ৫১৮ জনের। তবে সংক্রমণের হার ছাড়িয়েছে ১১ শতাংশের গণ্ডি। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক সংক্রমিত উত্তর ২৪ পরগনায়। এই জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৪১ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের।
উত্তর ২৪ পরগনার পরেই দ্বিতীয় সর্বাধিক সংক্রমিত কলকাতায়। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ১ হাজার ৭৩৫ জন। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন