গত ২০ এপ্রিল এক সেনা ট্রাকে অতর্কিত জঙ্গি হামলায় জম্মুর পুঞ্চে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। আর, ছ'জন গুরুতর আহত হয়েছেন। এই জঙ্গি হামলা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিল যে, জম্মু ও কাশ্মীরের সামগ্রিক সন্ত্রাসবাদী চ্যালেঞ্জ রুখতে পুঞ্চ এবং রাজৌরির সীমান্ত জেলাগুলোকে ঠিক কতটা সুরক্ষিত করার দরকার আছে। এই হামলার পরই শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। বিপুল সেনা, ড্রোন এবং স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চলছে।
২০২১ সালের অক্টোবরে সেনাবাহিনীর ওপর অতর্কিত জঙ্গি হামলার পর প্রায় দুই মাস ধরে এমন তল্লাশি চলেছিল। ২০ এপ্রিলের জঙ্গি হামলা সেই ঘটনাকেই মনে করিয়ে দিয়েছে। সেই হামলার ক্ষেত্রে অপরাধীদের কাউকে খুঁজে বের করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন জওয়ানরা। তার পরে অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগেই আরও জওয়ান নিহত হয়েছিলেন। ২০২১ সালের অক্টোবরে জঙ্গি হামলার পর একই এলাকায় আরও তিনটি বড় আকারের হামলার ঘটনা ঘটেছিল।
২০২২ সালের ১১ আগস্ট, রাজৌরি জেলায় এক সেনা ক্যাম্পে জঙ্গি হামলার পর পাঁচ জন সেনা জওয়ান প্রাণ হারান। ক্যাম্পের প্রাচীর অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় দুই জঙ্গিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই দুজনই একমাত্র হামলাকারী কি না, তা স্পষ্ট নয়। যদি আরও থেকেও থাকে, তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, রাজৌরি শহরের কাছে মুরাদপুরে এক সেনা ক্যাম্পের গেটের বাইরে দুই সাধারণ নাগরিককে হত্যা করা হয়েছিল। ফালিয়ানা গ্রামের ওই দুই ব্যক্তি সেনা শিবিরের ভিতরে একটি ক্যান্টিন চালাতেন। স্থানীয় বাসিন্দা এবং ওই দুই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, সেনাশিবিরের দরজায় পাহারায় থাকা নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সেনাবাহিনী অবশ্য এটিকে একটি জঙ্গি হামলা বলে জানিয়েছে। এই ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন- অফিসারের কোয়ার্টার বানাতে ভাঙা হল ‘মনুমেন্ট’, বিস্ময়ে হতবাক পুরাতত্ত্ব বিভাগ!
দুই সপ্তাহ পরে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি, ফালিয়ানা থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে ডাংরিতে জঙ্গিরা হামলা চালায়, সাত জনকে হত্যা করে। হিন্দু বলেই এই সাধারণ নাগরিকদের নিশানা করা হয়েছিল। সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং সিআরপিএফ-সহ নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনার পর এলাকায় চিরুনি তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু, জঙ্গিদের খোঁজ মেলেনি।