Advertisment

৩৭০ ধারা বিলোপে কি আদৌও উপকৃত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর?

"একবছরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে উপত্যকায়। গৃহহারা কাশ্মীরি পন্ডিতদের বসবাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

৫ অগাস্ট ২০২০, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের এক বছর অতিক্রান্ত। জম্ম, কাশ্মীর এবং লাদাখ থেকে 'বিশেষ রাজ্যের' তকমা তুলে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে দেওয়া হয় এই তিন এলাকাকে। যদিও প্রসার ভারতীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান এ সূর্য প্রকাশের মত, "এই আইনের ফলে সাত দশক ধরে উপত্যকায় যে লজ্জাজনক, বৈষম্যমূলক এবং অগণতান্ত্রিক নীতি চলেছে তার অবসান হয়েছে।" কিন্তু সত্যিই এই ৩৭০ ধারা বিলোপে উপকৃত হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ?

Advertisment

গত ১২ মাসে জম্মু, কাশ্মীর, লাদাখের পরিবর্তনের দিকটি দেখে সূর্য প্রকাশের মত এই সকল অঞ্চলে যারা বসবাস করেন তাঁরা যেন সমতা রেখে, সামঞ্জস্যপূর্ণভাব বজায় রেখে জীবনযাপন করতে পারে, ভারতীয় সংবিধান মেনে সেই নীতিতেই আস্থা রেখেছিল ভারত সরকার। তিনি বলেন, "এই উন্নয়নগুলির মাধ্যমে দেশের অন্যান্য রাজ্যে অনগ্রসর শ্রেণিরা যেমন শিক্ষা, চাকরিতে সংরক্ষণ, সামাজিক বিভিন্ন বিষয়ে সুবিধা উপভোগ করতে পারে তেমনই যেন এখানকার মানুষরাও সেই সুবিধা পায় সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।"

আরও পড়ুন, পদত্যাগ জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেনেন্ট গর্ভনর মুর্মুর, দায়িত্ব পেলেন মনোজ সিনহা

প্রসঙ্গত গত সাত দশকে এই প্রথমবার যখন জমু কাশ্মীর এবং লাদাখে ভারতীয় সংবিধান এবং কেন্দ্রীয় আইন বলবৎ করা সম্ভব হয়েছে। এর অর্থ হল এর অর্থ জে এবং কে-তে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন, ১৯৫৪, হুইসেল ব্লোয়ার্স প্রোটেকশন অ্যাক্ট, ২০১৪, জাতীয় সাফাই করমচারিস আইন, জাতীয় জাতীয় প্রগতিশীল আইন, সংখ্যালঘুদের জন্য জাতীয় কমিশন আইন এবং শিশুদের নিখরচায় ও বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন, ২০০৯-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ আইন লাগু করা সম্ভব হয়েছে।

প্রসার ভারতীয় প্রাক্তন চেয়ারম্যান বলেন, "একবছরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে উপত্যকায়। গৃহহারা কাশ্মীরি পন্ডিতদের বসবাসের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪ হাজার মানুষ কাজ পেয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের তালিকায় নাম তোলা হয়েছে আরও অনেকের। এমনকী পশ্চিম পাকিস্তানের প্রায় ২০,০০০ শরণার্থী, যারা তাঁদের নিজের দেশে বিদেশী হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল সেই সকল পরিবারকে আবাসিক অধিকার এবং ৫.৫০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।"

এমনকী, স্থানীয় সরকারের ১০ হাজার শূন্যপদে লোক নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তফসিলী উপজাতি, ওবিসি এবং অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মতো গোষ্ঠীগুলিকে কর্মসংস্থান পেতে সংশোধিত নিয়মও রাখা হয়েছে।

Read the story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

jammu and kashmir Article 370
Advertisment