Accused persons in prison contest polls but not vote: গত সপ্তাহে খালিস্তানপন্থী সংগঠন, 'ওয়ারিস পাঞ্জাব দি'-এর জেলবন্দি প্রধান অমৃতপাল সিং পঞ্জাবের 'খাদুর সাহেব' আসন থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ওই আসনে আগামী ১ জুন নির্বাচন হতে চলেছে। অমৃতপাল, ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত। কিন্তু, দোষী সাব্যস্ত না হওয়া পর্যন্ত তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই পারেন। তবে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভারতজুড়ে বিভিন্ন জেলে বন্দি অভিযুক্তদের মতই অমৃতপাল সিং ভোট দিতে পারবেন না।
ভোটদান এবং নির্বাচিত হওয়া আইনি অধিকার
১৯৭৫ সালে, ইন্দিরা গান্ধী বনাম রাজ নারাইন মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল যে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন ভারতীয় সংবিধানের 'মৌলিক কাঠামোর' অংশ। এই অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের নীতি লঙ্ঘন করে, এমন যে কোনও আইন বা নীতি বাতিল করা যেতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে নির্বাচন করার এবং নির্বাচিত হওয়ার অধিকার একই মর্যাদা ভোগ করে না। ২০০৬ সালে কুলদীপ নায়ার বনাম ভারত সরকার মামলায় পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ বলেছিল যে ভোট দেওয়ার অধিকার বা নির্বাচন করার অধিকার, 'বিশুদ্ধ এবং সরল, একটি বিধিবদ্ধ অধিকার।' এর অর্থ হল, ভোট দেওয়া মৌলিক অধিকার নয়। তা বাতিল করা যেতে পারে। নির্বাচিত হওয়ার অধিকারের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে সংসদের তৈরি আইন ভোট দেওয়া এবং নির্বাচিত হওয়া, উভয় অধিকারকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বলেই জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
দোষী সাব্যস্ত হলেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাধা
জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১ (RP আইন)-এর ধারা ৮ এ বলা আছে, 'কোনও ব্যক্তি, অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে, সেই ব্যক্তি ভোটে দাঁড়ানোর জন্য অযোগ্য ঘোষিত হবেন।' অর্থাৎ, একজন ব্যক্তি তালিকাভুক্ত আইনে কোনও অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হলে, তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার তারিখ থেকে সংসদ বা বিধানসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে অযোগ্য বলে ঘোষিত হবেন। শুধু তাই নয়, মুক্তির তারিখ থেকে আরও ছয় বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, আইনসভাই কেবলমাত্র জনপ্রতিনিধিত্ব আইন সংশোধন করতে পারে।
আরও পড়ুন- করোনার সময় আপনিও কি কোভিশিল্ড টিকাই নিয়েছেন? কতটা বিপদের মধ্যে আছেন, জেনে নিন
নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা
ভারতীয় নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১১ ধারার অধীনে কোনও ব্যক্তির অযোগ্যতার মেয়াদ বাড়াতে বা কমাতে পারে। ২০১৯ সালে কমিশন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাংয়ের অযোগ্যতার মেয়াদ কমাতে এই ধারা ব্যবহার করেছিল। সেবার, সিকিম ক্রান্তিকারি মোর্চা নেতা পোকলোক কামরাং বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন।