মণিপুর রাজ্যে চলমান জাতিগত হিংসার মধ্যেই বিরোধী দলগুলো সেখানে দুই মহিলার ওপর যৌন নিপীড়নের বিষয়ে আলোচনার দাবি করায়, সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২১ জুলাই) লোকসভা মুলতবি করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের এই বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দেওয়ার কয়েক মিনিট পরেই মুলতবি হয়ে যায় সভা।
মুলতুবি প্রস্তাব উত্থাপন
একইদিনে, কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুর ও হিবি ইডেন মণিপুরের জাতিগত হিংসার বিষয়ে জরুরি আলোচনার প্রয়োজন উল্লেখ করে লোকসভায় মুলতবি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। লোকসভার মহাসচিবকে লেখার পাশাপাশি, সাংসদরা পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই বিষয়ে বক্তব্য রাখার জন্য এবং সরকারকে 'ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং তফসিলি উপজাতিদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে তাঁর সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার' অনুরোধও করেছেন।
রুটিন অধিবেশন
এই পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে ফের লোকসভার কার্যক্রম শুরু হবে। সংসদের রুটিন মুলতবি - শুক্রবার যা ঘটেছিল- দিনের কাজ শেষ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল। সাধারণত, সংসদ অধিবেশন ১১টায় শুরু হয়। আর, মাঝখানে বিরতি দিয়ে সন্ধে ৬টায় শেষ হয়। তার মধ্যেই কখন অধিবেশন মুলতবি করা হবে, তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা স্পিকারের রয়েছে।
আরও পড়ুন- উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সমুদ্র, কোন বড় বিপদের বাণী শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
প্রশ্ন হল, মুলতবি প্রস্তাবগুলি কী এবং কীভাবে তারা নিয়মিত মুলতবি এবং সংসদে উত্থাপিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলোর থেকে আলাদা? ভারতীয় সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন প্রস্তাবই বী কী?
সংসদে লোকসভা এবং রাজ্যসভার উভয় কক্ষে, সংসদ সদস্যরা কোনও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে সভার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। এজন্য বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। পিআরএস লেজিসলেটিভ রিসার্চের সভাপতি এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা এমআর মাধবন ২০১২ সালে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এ লিখেছেন, 'চারটি প্রধান পদ্ধতি রয়েছে যার অধীনে লোকসভায় আলোচনা হতে পারে- বিধি ১৯৩-এর অধীনে ভোট ছাড়াই একটি বিতর্ক, ১৮৪ বিধির অধীনে ভোট-সহ একটি প্রস্তাব, একটি অধিবেশন স্থগিত করার প্রস্তাব। আরেকটি হল সমর্থন না-করার প্রস্তাব।' শেষটি বাদে, রাজ্যসভাতেও অনুরূপ ব্যবস্থা রয়েছে।