পাঁচ দিনের এয়ারো ইন্ডিয়া শো। এটাই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় শো। ১৩ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুর ইয়েলাহাঙ্কার এয়ারফোর্স স্টেশনে শুরু হল এই শো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিবার্ষিক এই শো-এর ১৪তম সংস্করণের উদ্বোধন করেছেন। অনুষ্ঠানের প্রেস রিলিজ অনুযায়ী, এই শো-এ মহাকাশ ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের সক্ষমতা প্রদর্শন করা হচ্ছে। বিপুল পরিমাণ সুযোগ তৈরি হবে এই শো থেকে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, এয়ারো ইন্ডিয়া একটি ব্যবসায়িক ইভেন্ট। পাশাপাশি, অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জোরদার করাও এর লক্ষ্য। এই শোয়ের সাক্ষী হয়েছে ৯৮টি দেশ। ৩২টি দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ২৯টি দেশের বিমানবাহিনীর প্রধান, ৭৩ জন ভারত ও বিশ্বের OEM বা মূল সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থার সিইও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন। উপস্থিত আছেন এমএসএমই এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের স্টার্ট-আপগুলোও।
এয়ারো ইন্ডিয়া শো কী?
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিরক্ষা উত্পাদন বিভাগের পক্ষ থেকে, এয়ারো ইন্ডিয়া এই বছর হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (HAL) আয়োজন করছে। এর প্রধান প্রদর্শনকারীদের মধ্যে রয়েছে এয়ারবাস, বোয়িং, ড্যাসল্ট এভিয়েশন, লকহিড মার্টিন, ইজরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রি, ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস, আর্মি এভিয়েশন, এইচসি রোবোটিক্স, এসএএবি, সাফরান, রোলস রয়েস, লারসেন অ্যান্ড টুব্রো, ভারত লিমিটেডের মতো প্রতিরক্ষা এবং বিমান উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো। (বিইএল), ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড (বিডিএল) এবং বিইএমএল লিমিটেড ও এখানে অংশ নিয়েছে।
আরও পড়ুন- শুভেন্দুর হয়ে ক্ষমা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা!
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কথা
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘এই ইভেন্টের লক্ষ্য হল লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট (LCA)-তেজস, এইচটিটি-৪০, ডর্নিয়ার লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার (LUH), লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার (LCH), অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার (ALH)-এর মতো দেশীয় বিমানের রফতানিকে উৎসাহিত করা। এটি দেশীয় এমএসএমই এবং স্টার্ট-আপ সংস্থাগুলোকে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলে একীভূত করবে। এর পাশাপাশি, উন্নয়ন এবং উৎপাদনের জন্য অংশীদারিত্বের প্রস্তাব-সহ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে।’ সরকারি সূত্রে খবর, অনুষ্ঠানে প্রায় ৫ লক্ষ দর্শক উপস্থিত থাকছেন। ২০২১ সালে কোভিড -১৯ বিধিনিষেধের পরে এর শেষ শো অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
Read full story in English