বায়ু মাধ্যমে ১০ মিটার পর্যন্ত সংক্রমণ ছড়াতে পারে কোভিড-১৯। কেন্দ্রীয় এক বিশেষজ্ঞ কমিটি এই সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। কী ভাবে বায়ু মাধ্যমে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়? সেই বিষয় একগুচ্ছ গাইডলাইন জারি করেছে সেই কমিটি। তাতে উল্লেখ, উপসর্গহীন হয়েও সংক্রমণ ছড়ানো যায়। একমাত্র বায়ু চলাচলের প্রকৃত ব্যবস্থা (ভেন্টিলেশন) এই মাধ্যমে সংক্রমণ রোধ করতে পারে।
নির্দেশিকায় বলা, ‘দরজা-জানলা বন্ধ করে এসি চালালে সংক্রমিত বায়ু ঘরেই থেকে যায়। যেটা বাহক থেকে সুস্থ মানুষকে সংক্রমণে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।‘
সেই কমিটির পরামর্শ, ‘বদ্ধ জায়গা, অর্থাৎ অফিস, অডিটোরিয়াম, শপিং মলে গেবেল ফ্যান বা রুফ ভেন্টিলেটর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা উচিত। ঘনঘন সাফাই এবং ফিল্টার পরিবর্তনে জোর দেওয়া উচিত।‘
এদিকে, দেশে বাড়তে শুরু করেছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আক্রমণ। রাজস্থানে ১০০-র বেশি আক্রান্ত হয়েছে এই ছত্রাক আক্রমণের জেরে। ‘রাজস্থান এপিডেমিক অ্যাক্ট ২০২০–র আওতায় এই রোগকে মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। করোনা রোগীর ক্ষেত্রেই সেরে ওঠার পরে দেহে এই ছত্রাকজনিত রোগ মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করেছে।
শুধু রাজস্থান নয়, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, মধ্যপ্রদেশে দেখা মিলেছে এই মারণ ছত্রাকের। বাংলাতেও সংক্রমণ ছড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। এখনও পর্যন্ত ৫ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। সব ক্ষেত্রেই কোভিড কারণ নয়, এমনটাই মত স্বাস্থ্য দফতরের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রয়েছে, কিংবা জটিল রোগে আক্রান্ত, নিয়মিত স্টেরয়েড নেন, বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ত্বক বা নাক থেকে এই সমস্যা শুরু হলেও তার প্রভাব ফুসফুস ও মস্তিষ্কেও পড়ে।
AIIMS এর তরফে জানান হচ্ছে, যাদের ডায়াবিটিস অনিয়ন্ত্রিত ও কড়া ডোজের স্টেরয়েড নিচ্ছেন, তাঁদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।
কী ভাবে বুঝবেন ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ হয়েছে? নাক দিয়ে অস্বাভাবিক ভাবে কালো রস বেরনো বা রক্ত বেরনো। নাক বন্ধ, মাথা যন্ত্রণা ও চোখে ব্যথা। চোখ ফুলে যাওয়া, ডাবল ভিশন, লাল চোখ, চোখে দেখতে না পাওয়া, চোখ খুলতে না পারা। মুখে অসাড় ভাব। মুখ খুলতে বা চিবোতে কষ্ট হওয়া।