/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/01/modi-ayodhya-ram-mandir.jpg)
Modi-Agnibaan: এই সাফল্যে বেজায় খুশি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। (ফাইল ছবি)
Agnibaan rocket launch marks a turning point: বিজ্ঞানচর্চার আধুনিকতম ক্ষেত্র মহাকাশ বিজ্ঞান। মহাকাশ বিজ্ঞান বিষয়টা নতুন নয়। তবে, আগে কল্পনায় সবকিছু ধরা হত। তার মধ্যে থেকেই তৈরি করা হত নানা সূত্র। কিন্তু, গত শতাব্দী থেকে মানুষের মহাকাশে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ঘটেছে। সেই যোগাযোগ ইদানীং বেড়েছে। তবে, এতেই থেমে থাকেনি মানুষ।
প্রতিযোগিতামূলক মহাকাশ চর্চা
বিভিন্ন দেশ রীতিমতো প্রতিযোগিতা করে মহাকাশ বিজ্ঞানচর্চায় অগ্রগতি ঘটাচ্ছে। সেই তালিকায় ভারত অন্যতম অগ্রণী রাষ্ট্র। এবার সেই মহাকাশ বিজ্ঞানচর্চায় বিরাট পদক্ষেপ ঘটল ভারতে। সৌজন্যে বেসরকারি মহাকাশ সংস্থা, 'অগ্নিকুল কসমস'। তাদের 'অগ্নিবাণ' রকেটকে মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে একটা বিরাট পদক্ষেপ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
দেশীয় রকেটের সফল উৎক্ষেপণ
অগ্নিকুল কসমস, গত সপ্তাহেই তার তৈরি দেশীয় রকেটের প্রথম সফল উৎক্ষেপণ করেছে। উৎক্ষেপণ সফল হয় কি না, সেদিকে নজর রেখেছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) থেকে শুরু করে বিদেশেরও বিভিন্ন সংস্থাও। শেষ পর্যন্ত সাফল্য আসায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর কৃতিত্বের জন্য কোম্পানিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
'স্কাইরুট অ্যারোস্পেস'-এর সাফল্য
কোনও ভারতীয় বেসরকারি কোম্পানি ভারতের মাটি থেকে এই প্রথমবার রকেট উৎক্ষেপণ করল না। ২০২২ সালের নভেম্বরে 'অগ্নিকুল'-এর মতই নতুন মহাকাশ সংস্থা 'স্কাইরুট অ্যারোস্পেস'ও সফলভাবে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছিল। বিক্রম সারাভাইয়ের নামানুসারে ওই রকেটের নামকরণ করা হয়েছিল, 'বিক্রম'। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO) তৈরির কৃতিত্বের অন্যতম কারিগর বিক্রম সারাভাই। তখনও রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, আরও অনেকে মহাকাশ সংস্থাটিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
A remarkable feat which will make the entire nation proud!
The successful launch of Agnibaan rocket powered by world’s first single-piece 3D printed semi-cryogenic engine is a momentous occasion for India’s space sector and a testament to the remarkable ingenuity of our Yuva… https://t.co/iJFyy0dRqqpic.twitter.com/LlUAErHkO9— Narendra Modi (@narendramodi) May 30, 2024
'স্কাইরুট'-এর কায়দাতেই সাফল্য
'অগ্নিকুল'-এর দেওয়া 'অগ্নিবাণ' রকেট, 'স্কাইরুট'-এর সাফল্যের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি হয়েছে। যা, ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানচর্চায় বিকল্প ক্ষেত্রকে উন্মুক্ত করেছে। 'অগ্নিবাণ' বিশ্বের প্রথম ৩-ডি প্রিন্টেড ইঞ্জিন দ্বারা চালিত। ইসরো (ISRO)-র শ্রীহরিকোটা লঞ্চিং ক্ষেত্রেই 'অগ্নিকুল'-এর নিজস্ব লঞ্চপ্যাড থেকে এই রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। 'অগ্নিকুল' ও 'স্কাইরুট', উভয়েই একবছরের মধ্যে বাণিজ্যিক ভাবে তাদের উপগ্রহ উৎক্ষেপণ শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- বিমান চলাচলে বিঘ্ন! জলবায়ু পরিবর্তন আকাশপথে কতটা গুরুতর প্রভাব ফেলতে চলেছে?
'অগ্নিবাণ' রকেট
'অগ্নিবাণ'-এর বিশেষত্ব হল, এটি সেমি-ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন। সম্পূর্ণরূপ ৩-ডি প্রিন্টেড। ইঞ্জিনের কোনও আলাদা অংশ নেই। অথবা খুলে নেওয়া যায়, এমন কোনও অংশ নেই। কোনও জয়েন্ট নেই। কোনও জায়গায় ঢালাই করা নেই। ফিউজ (fusing)-এর ব্যবস্থা নেই। এটা হার্ডওয়্যারের মসৃণ অংশ। সবমিলিয়ে একটাই অংশ। স্পেস হার্ডওয়্যারে ৩-ডি প্রিন্টিং ব্যবহার নতুন কিছু না। তবে, অতীতে ৩-ডি প্রিন্টেড জোড়াহীন একখানা ইঞ্জিন দেখা যায়নি।