ভারতের মতো কৃষিপ্রধান দেশে কৃষক্ষেত্রকে আরও উন্নত করতে ৯ অগাস্ট এক লক্ষ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পিএম কিষান প্রকল্পে ১৭ হাজার কোটি টাকার ষষ্ঠ কিস্তির অর্থও বিতরণ শুরু করা হয়। জানা যায়, এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন প্রায় সাড়ে আট কোটি কৃষক।
প্রসঙ্গত, করোনা অতিমারীর সংকট কাটাতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার অর্থনৈতিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তারই একটি অংশ নিয়ে এই কৃষি-কাঠামো তহবিল গঠন করা হয়। এই তহবিল যেন সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয় সে জন্য ফার্মার প্রোডিউসার অর্গানাইজেশন (এফপিও)- গঠন করা হয়।
ফসল কাটার পরিবর্তে ব্যবস্থাপনায় পরিকাঠামো, কৃষি গোষ্ঠী, কোল্ডস্টোরেজ, কৃষি ফসল সংগ্রহ এবং প্রক্রিয়াকরণ এর ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে কাজ করবে বলেই মনে করছেন অশোক গুলাটি। তিনি মনে করেন, কৃষকরা যে ফসল উৎপন্ন করবে তার দাম আগের তুলনায় অনেক বেশি পাবে। এতদিন ধরে অভিযোগ উঠে আসছিল কৃষকরা ফসল বিক্রি করার সময় সঠিক দাম পাই না। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি কৃষিঋণ নেওয়ারও সুবিধা রয়েছে।
তবে অসুবিধা কি নেই একেবারে?
প্রফেসর অশোক গুলাটি বলেন, "বর্তমানে বেশিরভাগ বর্তমানে বেশিরভাগ এফপিও বাৎসরিক সংস্থাগুলি থেকে বছরে ১৮-২২ শতাংশ হারে কার্যনির্বাহী মূলধনের জন্য তাদের ঋণের একটি বড় অংশ পান। এই হারে অফ-সিজনের সময় দাম অন্যান্য সময়কালের দামের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে না থাকলে স্টকিং অর্থনৈতিকভাবে কার্যকর করা সম্ভব নয়।"
এরই মধ্যে নাবার্ড ১০ হাজার এফপিও তৈরি করেছে। ৩ থেকে ৭ শতাংশ হারে সুদ নেবে এআইএফ থেকে। এবং সর্বোচ্চ দু’কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। প্রফেসরের মতে, সরকারের নীতি যদি আরও স্থিতিশীল এবং বাজার-বান্ধব হয় তাহলেই উন্নয়নের সম্ভাবনা থাকবে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন