রবিবারের দিল্লি সাক্ষী থাকল একদিনে সংক্রমণের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ডের। এদিন আরও মোট নতুন ২৯৩ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এখন সেখানে মোট ২৯১৮ জন করোনা সংক্রমিত। কিন্তু তার চেয়েও নজর কাড়া ঘটনা ঘটেছে আমেদাবাদে, যেখানে একদিনে ১৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে, মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে সেখানে।
করোনা পজিটিভ মৃত্যুর সংখ্যা আমেদাবাদে এখন ১০৫। কেবলমাত্র মুম্বইয়ে এই সংখ্যাটা এর চেয়ে বেশি- ২০৪। ঘটনা হল, আমেদাবাদে মোট মৃত্যুর ৬০ শতাংশ ঘটেছে গত এক সপ্তাহে। ২০ এপ্রিল থেকে এ শহরে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা মুম্বইয়ে এই সময়কালে মৃত্যুসংখ্যার চেয়ে বেশি।
আমেদাবাদে এখন মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২১৮১। মহারাষ্ট্র ও গুজরাট বাদ দিলে অন্য যে কোনও রাজ্যের চেয়ে এই সংখ্যাটা বেশি। আর মাত্র দুটি রাজ্য রয়েছে যেখানে এই সংখ্যাটা প্রায় আমেদাবাদের সমান- রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ। এখনও পর্যন্ত রাজস্থানে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, মধ্যপ্রদেশে মারা গিয়েছেন ১০৩ জন।
৩৩০টি সংক্রমণের ঘটনা নিয়ে গুজরাটে গত ১২ দিনে সংক্রমণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় সাড়ে চার গুণ। দেশের মধ্যে এখানেই সংক্রমণ জনিত মৃত্যুর অনুপাত সবচেয়ে বেশি।
গুজরাটে যত পরিমাণ রোগ ধরা পড়েছে, তার চেয়ে রোগ ছড়ানোর আসল সংখ্যা বেশি এবং সেখানে যথেষ্ট পরিমাণে টেস্টিং হচ্ছে না- এই পরিসংখ্যান তার ইঙ্গিত হতে পারে। গুজরাটে এখনও পর্যন্ত ৫১,০৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, যা মহারাষ্ট্রের অর্ধেকের চেয়ে কম। মহারাষ্ট্রে ১.১৬ লক্ষ টেস্ট ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।
এমনকি তামিলনাড়ুতেও, যেখানে গুজরাটের চেয়ে করোনা পজিটিভের সংখ্যা অনেকটাই কম, সেখানেও ৮৭ হাজার জনের টেস্ট হয়েছে।
রবিবার সারা দেশে মোট ১৬৮২ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যার ফলে মোট পজিটিভের সংখ্যা এখন ২৭৮৪৪। এদিন এই রোগে ৫০ জনেরও বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছাড়াল এই নিয়ে দ্বিতীয়বার।
সারা দেশের মোট সংক্রমণের ৩০ শতাংশ ঘটেছে যে মহারাষ্ট্রে, সেখানে ৪৪০ জনের নতুন সংক্রমণের হদিশ মিলেছে, এখন সেখানে মোট সংক্রমিত ৮০৬৮। রাজস্থানে ১৬৫ জনের সংক্রমণের ফলে সে রাজ্যে এখন সংক্রমণের সংখ্যা ২১৮৫-তে পৌঁছিয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন