New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/02/plea-in-SC.jpg)
আবেদনকারী শবরীমালা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়েরও উল্লেখ করেছেন।
নমাজ পাঠের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলাদের মসজিদে প্রবেশে কোনও বাধা নেই। ইসলামিক গ্রন্থগুলো তেমন কোনও বাধার কথা জানায়নি। এক হলফনামায় শীর্ষ আদালতকে এমনটাই জানাল অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। পুনের বাসিন্দা ফারহা আনোয়ার হুসেন শেখ। তাঁর অভিযোগ, মসজিদে মহিলাদের নমাজ পাঠ করতে দেওয়া হয় না। এই নিষেধাজ্ঞাকে বেআইনি ঘোষণার জন্যই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ফারহা আনোয়ার হুসেন শেখ। আর, তারপরই মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড জানিয়ে দিল তাদের বক্তব্য।
কী নিয়ে মামলা?
ফারহা আনোয়ার হুসেন শেখ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে অ্যাডভোকেট সন্দীপ তিওয়ারি এবং রামেশ্বর গয়ালের মাধ্যমে তাঁর আবেদন দাখিল করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, মসজিদে মুসলিম মহিলাদের নমাজ পাঠ করতে বাধা দেওয়া সংবিধানের ১৪, ১৫, ২১, ২৫ ও ২৯ ধারা বা (সমতা, বৈষম্য ও স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের অধিকার) লঙ্ঘন করেছে। তিনি মুসলিম মহিলাদের মসজিদে প্রবেশ বন্ধ করার চেষ্টাকে 'অবৈধ' এবং 'অসাংবিধানিক' ঘোষণার দাবি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের কাছে নির্দেশ চেয়েছিলেন।
ফারহার আবেদন
আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, কোরান বা নবী মুহাম্মদ মহিলাদের মসজিদে প্রবেশের বিরোধিতা করেছেন, এমন কোনও নথি নেই। একইসঙ্গে আবেদনপত্রে ফারহা আনোয়ার হুসেন শেখ বলেছেন, 'পশ্চিম সৌদি আরবের পবিত্র শহর মক্কা তথা নবী মুহাম্মদের জন্মস্থান, যেখানে পুরুষ এবং মহিলা উভয়েই একসঙ্গে কাবাকে প্রদক্ষিণ করে। সেখানে উপাসনা করার ক্ষেত্রে কোনও লিঙ্গ বৈষম্য নেই।' এই আবেদনে মুসলিম মহিলাদেরকেও পুরুষদের সঙ্গে প্রার্থনা ক্ষেত্র বা মুসাল্লায় একসঙ্গে প্রার্থনা করতে দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন আবেদনকারী। প্রার্থনাক্ষেত্রে মুসলিম মহিলাদের যেন বিচ্ছিন্ন করে রাখা না-হয়, সেই আবেদনও তিনি করেছিলেন।
আরও পড়ুন- ‘ফাঁস শক্ত হচ্ছে’, ফোঁস শুভেন্দুর, কয়লা পাচারের ‘যকের ধনে’ প্রভাবশালী যোগ- দাবি ইডির!
শবরীমালা মামলার উল্লেখ
এই আবেদনে, 'ভারতীয় তরুণ আইনজীবী সমিতি বনাম কেরল রাজ্য' মামলা বা শবরীমালা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের ২০১৮ সালের রায়ের প্রসঙ্গও টানেন ফারহা। ওই মামলায় আদালত নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সমস্ত হিন্দু তীর্থযাত্রীদের মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। একইসঙ্গে জানিয়েছে, ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সি মহিলাদের শবরীমালা মন্দিরে প্রবেশ করতে না-দেওয়া সংবিধানে ২৫ ধারা লঙ্ঘন করেছে। ফলে, সেটা বেআইনি।
Read full story in English