Advertisment

বন্দে ভারত মিশনে মেঘের ছায়া- এয়ার ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে কেন অভিযোগ আনল আমেরিকা?

অভিযোগ, বন্দে ভারত মিশনের এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সাধারণ নাগরিককে আমেরিকায় প্রবেশের জন্য টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Vande Bharat Cloud Air India

এয়ার ইন্ডিয়ার প্রত্যর্পণ বিমানের অগ্রিম অনুমোদনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে

মার্কিন পরিবহণবিভাগ সে দেশ থেকে নাগরিকদের ফেরানোর জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের উপর নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে। তাদের বক্তব্য ভারত অন্যায় করছে এবং বৈষম্যমূলক নীতি প্রয়োগ করছে। এবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান মার্কিন দেশে চলাচলের জন্য সে দেশের পরিবহণ বিভাগের নির্দিষ্ট অনুমতি লাগবে।

Advertisment

২২ জুন তারিখের বিভাগীয় নির্দেশে বলা হয়েছে নির্দিষ্ট অনুমতি ছাড়া ৩০ দিন পর থেকে এ ধরনের বিমান চলাচল করতে পারবে না।

 ভারতের বিরুদ্ধে আমেরিকার অভিযোগ কী?

মার্কিন পরিবহণ বিভাগ জানিয়েছে ভারত সরকার মার্কিন বিমান চলাচলের অধ্কার খর্ব করেছে এবং ভারত থেকে মার্কিন বিমান চলাচলের উপর বৈষম্যমূলক ও নিয়ন্ত্রক নীতি লাগু করেছে।

বলা হয়েছে, ভারত সরকার ভারত সরকার মার্কিন বিমান সংস্থাগুলিকে ভারত-আমেরিকা যাত্রীদের সরাসরি এবং অন্য কোনও ভাবেও  টিকিট বিক্রি করতে দিচ্ছে না। তবে আমেরিকা থেকে ভারতে চার্টার অপারেশনের ব্যাপারে কোনও বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে না বলেও নির্দেশে জানানো হয়েছে।

ওই নির্দেশে একইসঙ্গে বলা হয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান অন্তত ভারত থেকে আমেরিকায় চলাচলের ক্ষেত্রে তাদের উদ্দেশ্যের বাইরে চলে গিয়েছে এবং সাধারণ নাগরিককে আমেরিকায় প্রবেশের জন্য টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

মার্কিন সরকার কি ভারত সরকারকে এ নিয়ে কিছু জানিয়েছিল?

এই নির্দেশে বলা হয়েছে, গত ১৯ মে মার্কিন পরিবহণ বিভাগের এক আধিকারিক এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে এ ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তাতে বলা হয়েছিল, এয়ার ইন্ডিয়ার তথাকথিত ইভ্যাকুয়েশন চার্টার সত্যিকারের ইভ্যাকুয়েশনের বাইরে চলে গিয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশর জন্য সাধারণ মানুষের কাছে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

গত ২৬ মে ডেল্টা এয়ারলাইন্স ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার মতই পাল্টা প্রত্যর্পণ বিমান পরিষেবা চালিু করার অনুমতি চায়। এখনও পর্যন্ত ডেল্টাকে চিঠির উত্তর দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন পরিবহণ বিভাগ। আমেরিকা গত ২৮ মে নয়া দিল্লির মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমেও ভারত সরকারের কাছে এ বিষেয় তাদের আপত্তির কথা জানায়। নির্দেশে বলা হয়েছে ভারত সরকার পরিস্থিতর সুরাহা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

 তাহলে আমেরিকা কী ব্যবস্থা নিচ্ছে?

মার্কিন পরিবহণ দফতর দৃঢ়ভাবে মনে করছে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রী পরিবহণ অপারেশনের বিষয়টি এ পরিস্থিতিতে খুঁটিয়ে বিবেচনা করা দরকার যতক্ষণ না পর্যন্ত বিষয়টির সন্তোষজনক সমাধান হচ্ছে।

এয়ার ইন্ডিয়ার প্রত্যর্পণ বিমানের অগ্রিম অনুমোদনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে মার্কিন সরকার খুঁটিয়ে দেখতে সমর্থ হবে।

এয়ার ইন্ডিয়ার অন্যায়ের ব্যাপারে যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে ভারত কী বলেছে?

অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক ও এয়ার ইন্ডিয়া এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ ১৫ জুন এক বিবৃতিতে বলেছে, বন্দে ভারত মিশন কার্যকর করতে ডিজিসিএ ২ লক্ষ যাত্রীর যাওয়া ও আসার জন্য ৮৭০টি চার্টার্ড বিমানকে অনুমতি দিয়েছে। বেশ কিছু বিমান সংস্থা আটকে পড়া মানুষদের তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার এই মানবিক মিশনে সাহায্য করেছে।  কাতার এয়ারওয়েজ-৮১, কেএলএম ডাচ-৬৮, কুয়েত এয়ার-৪১, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ-৩৯, ফ্লাইদুবাই-৩৮, এয়ার ফ্রান্স -৩২, জাজিরা-৩০, এয়ার আরবিয়া-৩৯, গালফ এয়ার -১৯, শ্রীলঙ্কান-১৯, বিমান বাংলাদেশ-১৫, কোরিয়ান এয়ার-১৪, ডেল্টা-১৩, সৌদিয়া-১৩, ও এয়ার নিপ্পন-১২-র মত গুরুত্বপূর্ণ বিমান সংস্থা এ কাজে অংশ নিয়েছে।

এ ছাড়া এয়ার নিউজিল্যান্ড-১২, থাই এয়ার এশিয়া-১১, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স-১১, ইরাকি এয়ারওয়েজ-১১, ওমান এয়ার-১০, উরাল এয়ারলাইন্স-৯, শুফৎহানসা-৮, শোমোন এয়ার-৮, কন্ডুর-৮, এমিরেটস-৫, এতিহাদ-৫, এয়ারোফ্লোট-৪ ও ভার্জিন আটলান্টিক- ৪ এই চার্টার্ড অপারেশনে অংশ নিয়েছে।

Air India USA
Advertisment