ভারতে বিমান ভাড়া বাড়ছে। কোভিড মহামারী কমে যাওয়ার পর ভ্রমণের চাহিদা বেড়েছে। গত বছর থেকেই পরিস্থিতি ভালো হতে শুরু করেছিল। তারপরই চলতি বছরের গ্রীষ্মকালীন ভ্রমণের মরসুমে বিমানের টিকিটের দাম অস্বাভাবিকরকম বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রীষ্মের তাপদাহ থেকে বাঁচতে অনেকেই সুবিধাজনক জায়গায় বেড়াতে যাচ্ছেন। বিমানের টিকিটের দাম বৃদ্ধির জেরে তাঁদের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তার মধ্যে আবার গো ফার্স্ট দেউলিয়ার স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। বিমানগুলোর চলাচল বন্ধ করেছে। তার জেরে যাত্রীর সংখ্যা বাড়লেও বিমানের সংখ্যা কমেছে। এতেও বেড়েছে বিমানের টিকিটের চাহিদা। ফলে বেড়েছে টিকিটের দামও।
আর, এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া তুলকালাম করে দিচ্ছেন বিমানের যাত্রীরা। সরকারও কিছু বিমানের যাত্রাপথে অস্বাভাবিক ভাড়াবৃদ্ধির কথা স্বীকার করেছে। বিমান সংস্থাগুলোকে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিরীক্ষণ করতে বলেছে। সঙ্গে, রুটগুলোয় যুক্তিসঙ্গত মূল্য নিশ্চিত করতে একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে বলেছে। যাইহোক, কাছাকাছি সময়ে অবকাশের সম্ভাবনা বাড়লে ভ্রমণের চাহিদাও বাড়ে। যেমন এখন গ্রীষ্মের মরশুম টিকিটের চাহিদায় জোয়ার এসেছে। তবে, জোয়ার এলেও বিমানের টিকিট কতটা বিক্রি হচ্ছে, তা নির্ভর করে টিকিটের দাম, যাত্রীদের কেনার ক্ষমতা, যাত্রাপথের মত অনেকগুলো বিষয়ের ওপর।
এবছর ২ মে, গো ফার্স্ট বিমানসংস্থা ঘোষণা করেছে যে তারা স্বেচ্ছায় দেউলিয়া হওয়ার জন্য আবেদন করছে। এই বিমান সংস্থাটি ৩ মে থেকে একটিও বিমান চালায়নি। এপ্রিলে ওয়াদিয়া গ্রুপের এই বিমান সংস্থাটি ৮.৩ লক্ষ যাত্রী নিয়ে ওঠানামা করেছিল। বিমান যাত্রী পরিষেবায় তাদের শেয়ারের পরিমাণ ছিল ৬ শতাংশ। বাজার থেকে গো ফার্স্টের হারিয়ে যাওয়া ভারতীয় বিমান যাত্রীদের কাছে ছিল একটা বড় ধাক্কা। কারণ, ইন্ডিগো এবং স্পাইসজেট বিমান সংস্থাও তাদের বিমানের সংখ্যা ইতিমধ্যে কমিয়েছিল। ফলে সামগ্রিকভাবে টিকিটের চাহিদা বেড়েছে। যা প্রভাব ফেলেছে বিমানের টিকিটের দামে।
আরও পড়ুন- বিপর্যয়ের শুক্রবারে বালেশ্বরে কালরাত্রির বিভীষিকা, উদ্ধার শেষে নায়কের সম্মান ওড়িশার বাহিনীকে
তবে, বিমান সংস্থাগুলোর দাবি ভাড়া বাড়লেও বিমানের টিকিটের চাহিদা কমেনি। এর পিছনে করোনা রয়েছে বলেই বিমান সংস্থাগুলোর কর্তারা মনে করছেন। তাঁদের ধারণা, করোনা অতিমারির জন্য যাত্রীরা দীর্ঘদিন বিমানে যাতায়াত করতে পারেননি। তাই অতিমারির প্রভাব কমার পর তাঁরা নিজেদের ইচ্ছা পূরণ করে নিচ্ছেন।