ইসলামে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ। আর, সেকথা মাথায় রেখে বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর মাত্র দু'দিন আগে বড় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কাতার। জানিয়েছে, স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রি করা যাবে না। আগে অন্যরকম কথা হয়েছিল ফিফার সঙ্গে। কাতার জানিয়েছিল, বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য তারা বিধিনিষেধ শিথিল করবে। কিন্তু, কোথায় কী? অ্যালকোহল বিক্রি নিয়ে কাতার ইউ টার্ন নেওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনা ভেসে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞা না-তুললেও কাতারের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তাঁরা গোটা বিশ্বের ফুটবল ভক্তদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। কিন্তু, ফুটবল ভক্তরাও যেন কাতারের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে সম্মান করেন।
মদের ব্যাপারে কী বলেছে কাতার?
কাতার জানিয়েছে ইসলামে মদ্যপান 'হারাম', অথবা নিষিদ্ধ। এই নিষেধাজ্ঞার প্রমাণ হিসেবে, ইসলামের মৌলবিরা কোরানের একটি লাইন উদ্ধৃত করছেন। যেখানে মদ্যপান করাকে 'শয়তানের কাজ' বলে অভিযোগ করা হয়েছে। আর, মুসলিমদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা মদ্যপদের এড়িয়ে যান। এর পাশাপাশি পয়গম্বর মহম্মদও নেশার বস্তু পানের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন। শুধু তাই নয়, খাবারের সঙ্গে মদ্যপানেরও বিরোধী ইসলাম। যদিও পশ্চিমের দেশগুলোর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় খাবারের সঙ্গে মদ্যপান করার রীতি রয়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মদ্যপান করার চল রয়েছে ইউরোপ এবং আমেরিকায়। যা ইসলাম ঠিক বলে মনে করে না।
আরও পড়ুন- রাষ্ট্রপতিকে কুকথা: তপ্ত বিধানসভা, খারিজ বিজেপির মুলতবি প্রস্তাব, তবুও খুশি শুভেন্দু, কেন?
মদের প্রতি মুসলিমদের মনোভাব
মদের ওপর ইসলামের নিষেধাজ্ঞা সর্বজনবিদিত। তবে, সব মুসলিম যে মদ পান করেন না, এমনটা কিন্তু নয়। কেউ প্রকাশ্যে, কেউ আবার গোপনে মদ্যপানে অভ্যস্ত। বিশ্বজুড়ে পিউ রিসার্চ সার্ভে মুসলিমদের মদ্যপান নিয়ে সমীক্ষা করেছে। সেই সমীক্ষা বলছে, মুসলিম সম্প্রদায়ের অনেকেই বিশ্বাস করেন যে মদ্যপান করাটা ঠিক না। এই ব্যাপারে বিশ্বের সমস্ত দেশে মুসলিমদের মনোভাব জানতে সমীক্ষা করেছে সংস্থাটি।
বিশ্বের সব ফুটবলভক্ত তো মুসলিম নন
কিন্তু, বিশ্বের সব ফুটবলভক্ত তো আর মুসলিম নন। তাঁরা কেন বিশ্বকাপের আমেজ পূর্ণরূপে গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হবেন? কেন অ্যালকোহলের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবেন? এই প্রশ্নই তুলছেন ফুটবলভক্তরা।
Read full story in English