করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রাথমিক সুরক্ষা ব্যবস্থা মাস্ক। তবে সমীক্ষা জানাচ্ছে এবার এই 'রক্ষক'ই হয়ে উঠছে চিন্তার কারণ। দেখা গিয়েছে বাড়ছে অ্যালার্জির প্রকোপ। এমনকী মুখের ত্বকেরও ক্ষতি করছে। যাঁদের অ্যালার্জি রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে আরও বাড়ছে রোগ। বিজ্ঞানীরাও স্বীকার করছেন এই সত্যটিকে। বেশ কিছু মাস্কে অ্যালার্জেন রয়েছে যা নতুন করে ত্বকের সমস্যা বাড়িয়ে তুলছে।
গত সপ্তাহে আমেরিকান কলেজ অ্যালার্জি, অ্যাজমা এবং ইমিউনোলজির (এসিএএআই) বার্ষিক সায়েন্স সভায় সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা: যশু ধমিজা বেশ কয়েকটি ত্বকের রোগের সঙ্গে আক্রান্ত রোগীর কেস বিশ্লেষণ করেছিলেন। তিনি জানান ২০২০ সালে আবার এই সমস্যা ফিরে আসছে। অবশ্যই তা মাস্কের কারণে। মাস্কের ইলাস্টিক ব্যান্ড কিংবা কাপড় অ্যালার্জেন ছড়াচ্ছে সেখান থেকেই। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে ইলাস্টিক কিংবা রাবারজাত ব্যান্ডের থেকে অ্যালার্জির প্রবণতা বাড়ছে।
কেস স্টাডিতে কী দেখা গিয়েছে?
পরীক্ষাটি করা হয়েছিল ৬০ বছর বয়সী কৃষাঙ্গ মানুষের উপর। যার চর্মরোগ এবং দীর্ঘদিন নাকে অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে। দেখা গিয়েছে ২০২০ সাল পর্যন্ত ত্বকের অবস্থা নিয়ন্ত্রণে ছিল তবে করোনার জেরে মাস্ক পরা শুরু করতেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকে পরিস্থিতি। ড: ধমিজা জানান, ওষুধেও কাজ দিচ্ছিল না প্রাথমিকভাবে। তবে চিকিৎসকরা যখন বুঝতে শুরু করেন যে সমস্যার সূত্রপাত মাস্ক থেকে তা ব্যবহার না করার নির্দেশ দেন কয়েকদিন। পাশাপাশি স্টেরয়েড এবং একটি ইমিউনোসাপ্রেসেন্ট দেন। পরে জানা যায় যে ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে তাঁর।
পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা জানান যে মাস্ক ব্যবহার আবশ্যক তবে তা কোন উপাদানে তৈরি তা পরখ করে নেওয়া। বাজারে এখন মাস্কের ছড়াছড়ি, কিন্তু সেগুলির উপাদানই ডেকে আনছে বিপদ। আর যা হচ্ছে তা অজান্তেই। তাই এক্ষেত্রে যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নির্দিষ্ট মাস্ক পরা উচিত।
কীভাবে বুঝবেন মাস্কে অ্যালার্জি হচ্ছে কি না?
ইউটা ইউনিভার্সিটির অ্যালার্জিস্ট ডগলাস পাওলের মতে, "“একটি ছোট টুকরো কেটে নিন। সেটি আপনার কানের পিছনে রেখে দিন। প্রায় দশ থেকে পনেরো মিনিট সময় দিন। যদি অসুবিধা না হয়, তবে তা মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করুন, নচেৎ নয়।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন