টুইটার, মেটার মত সংস্থাগুলো ইতিমধ্যেই ব্যাপক কর্মী ছাঁটাই করে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মীদের মনে ত্রাসের সঞ্চার করেছে। তার মধ্যেই এবার বহুজাতিক সংস্থা অ্যামাজন সারা বিশ্বে তাদের 'কর্পোরেট এবং প্রযুক্তি' ক্ষেত্রে ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে। যা স্পষ্ট করে দিয়েছে, বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট চলছে। নিয়োগ তো বন্ধই হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু কর্মীছাঁটাই চলছে। যেমন, গত সপ্তাহেই মেটা ১১ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। এই পরিস্থিতির কারণ, বিশ্বে এখন মন্দা চলছে।
মন্দার কারণ কী?
করোনা অতিমারী থেকে বিশ্ব বের হয়ে এলেও, চাহিদা সংকুচিত হয়েছে। অতিমারীতে লোকজন ঘরবন্দি থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। বেশি করে অনলাইন কেনাকাটা, সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর দিয়েছেন। সেটা এখন বন্ধ। তার ফলে প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর চাহিদা কমেছে। যখন চাহিদা বেড়েছিল, বেশি কর্মীর দরকার হয়েছিল। তাই নিয়োগ করা হয়েছিল। এখন চাহিদা তলানিতে। অফিসে পৌঁছে দেখা যাচ্ছে আর আগের মত বিপুল পরিমাণ কর্মীর দরকার নেই। সংস্থার আয় কমেছে। তাই কর্মী ছাঁটাই চলছে।
তাহলে অ্যামাজনে কর্মীছাঁটাই বিরাট ব্যাপার কেন?
কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য অ্যামাজন সংস্থা এক বিরাট গুরুত্ব আছে। প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজের নিরাপত্তা খুব কম। কিন্তু, অ্যামাজন ব্যতিক্রম। তারা সাধারণত কর্মী ছাঁটাই করে না। আর, এই প্রথমবার এত বিপুল পরিমাণ কর্মী তারা ছাঁটাই করতে চলেছে। যদিও এখনও ছাঁটাইয়ের কথা তারা ঘোষণা করেনি। কিন্তু, সেটা করলে তা হবে একটা ইতিহাস।
আরও পড়ুন- দেহাংশ উদ্ধারের চেষ্টায় পুলিশ, ‘মেয়ের খুনি’ আফতাবের ফাঁসি চান শ্রদ্ধার বাবা
বড় বিপদ সংকেত
সেই অ্যামাজন এত বিপুল সংখ্যক, অর্থাৎ ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করলে, সেটা তো নিশ্চিতভাবে বিপদসংকেত। শুধু তাই না। তারা কবে কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছে? না-তো শীতের ছুটির মরশুমের কয়েক সপ্তাহ আছে। এই ছুটির মরশুমটা ই-কর্মাসের বাজারের সেরা সময় বলা হয়। আর, সেই সময়ে ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তই বুঝিয়ে দিচ্ছে, অ্যামাজন ঠিক কতটা ধাক্কা খেয়েছে। আর, এই বিপুল ধাক্কা তারা কীভাবে মোকাবিলা করবে, অথবা আদৌ করতে পারবে কি না, তা ভবিষ্যৎ বলবে। তবে, সেই সংকেতটা যে ভালো নয়, তা এককথায় স্বীকার করে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
Read full story in English