এক সপ্তাহের বেশি হল ভারতীয় বিমান বাহিনীর এএন৩২ বিমান নিখোঁজ। গত সোমবার আসামের জোড়হাট থেকে অরুণাচল প্রদেশের মেচুকাগামী বিমান হারিয়ে যায়। বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনী সমস্ত চেষ্টা সত্ত্বেও হারানো বিমানের কোনও হদিশ পাননি। ১৩ জন বিমানচালক ও যাত্রীর ভবিষ্য়ৎ এখনও অজ্ঞাত।
এএন ৩২ বিমান খুঁজে বের করতে কী ধরনের ব্য়বস্থা গ্রহণ করা হয়েছে?
হারানো বিমান খুঁজতে বহুরকম পদক্ষেপ করেছে বিমানবাহিনী। কাজে লাগানো হয়েছে সি ১৩০ জে বিমান, এসইউ ৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান, ভরতীয় নৌবাহিনীর পি৮আই বিমান, অ্য়াডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার, এবং চিতা হেলিকপ্টার। পি৮আই এবং এসইউ ৩০ বিমানে পাওয়ার রাডার রয়েছে, যার মাধ্য়মে গভীর জঙ্গল এলাকায়ও খোঁজ করা হয় হারানো বিমানের। এই বিমানগুলিতে অত্য়াধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি রয়েছে। এ ছাড়া বিমানবাহিনীর তরফ থেকে ওই এলাকায় তল্লাশি বাহিনী নামানো হয়, আসাম রাইফেলস এবং অরুণাচল পুলিশ স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ওই এলাকায় পায়ে হেঁটে তল্লাশি চালায়। হারানো বিমানের খোঁজ দিতে পারলে পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছে তারা।
মোট চারটি এমআই ১৭ হেলিকপ্টার, তিনটি এএলএইচ, দুটি এসইউ ৩০, দুটি চিতা হেলিকপ্টার এবং নৌবাহিনীর একটি পি এইট আই এবং একটি ইউএভি কাজে লাগানো হয়েছে।
এখনও কেন বিমানবাহিনীর এএন ৩২ বিমানের খোঁজ মিলল না?
হারানো বিমান খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে দুটি কারণ। এখানকার গভীর জঙ্গল তার অন্য়তম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে এই এলাকার ঘন জঙ্গলে একটি বিমান হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। সে বিমানের ধ্বংসাবশেষ এখনও মাঝেমাঝেই পাওয়া যেতে থাকে।
আবহাওয়াও এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং তল্লাশির এলাকায় ঘন মেঘ ও মাঝেমাঝেই বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে তল্লাশিতে সমস্য়া হচ্ছে।
আবহাওয়ার কারণেই কল্লাশি ও উদ্ধারকারী দল ওই এলাকা দিয়ে উড়তে পারছে না। তবে রাডার সমন্বিত সি ১৩০ জে এবং এসইউ ৩০ রাতের বেলাও তল্লাশি চালাচ্ছে। তবে এখনও কোনও সুফল মেলেনি।
এএন৩২ কোনও আপৎকালীন সিগন্য়াল পাঠাচ্ছে না কেন?
বিমানের অবস্থান জানানোর জন্য় যে আপৎকালীন সংকেত তা এ ক্ষেত্রে কাজ করেনি।
বিমানবাহিনীর তরফ থেকে এএন ৩২ বিমানে সংকেতযন্ত্র গুলি উন্নত করার কাজ চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৪০টি বিমানেই এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
হারানো বিমানের পুরনো সংকেত যন্ত্র যে যথাযথভাবে কাজ করেনি তা স্পষ্ট। এর ফলেই ওই বিমান খুঁজে পেতে সমস্য়া হচ্ছে।
Read the Full Story in English