Advertisment

বিমান দুর্ঘটনা তদন্তে কেন 'ব্ল্যাক বক্স' এত গুরুত্বপূর্ণ?

অবশেষে বিমানটির ভগ্নাবশেষ থেকে শনিবার উদ্ধার হল 'ব্ল্যাক বক্স'। কিন্তু এই বক্সটি বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শুক্রবার রাতে কেরালার কোঝিকোরে সাক্ষী হয়েছে এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার। টেবিলটপ রানওয়ে না কি পাইলটের ভুল? কোন হিসেবের গোলমালে দুর্ঘটনার মুখে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান। কেন প্রাণ হারালেন পাইলট-সহ ১৮ জন যাত্রী? উত্তর খুঁজে পেতে 'ব্ল্যাক বক্স'-এই আস্থা রেখেছিলেন তদন্তকারীরা। অবশেষে ৭৩৭-৮০০ বোয়িং বিমানটির ভগ্নাবশেষ থেকে শনিবার উদ্ধার হল 'ব্ল্যাক বক্স'। কিন্তু এই বক্সটি বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

Advertisment

'ব্ল্যাক বক্স' আসলে কী?

এই বক্স আসলে দুটি কমলা রঙের মেটালিক বাক্স। যার মধ্যে থাকে রেকর্ডার। ১৯৫০ সাল থেকে এই বক্স ব্যবহার করা চালু হয়। কোনও বিমান দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলে ঠিক কী কারণে বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছিল তা আগে বোঝা সম্ভব হত না তদন্তকারীদের পক্ষে। দুর্ঘটনার আগের মুহুর্তে বিমানে কী হয়েছিল তাও জানা সম্ভব ছিল না। তাই এই 'ব্ল্যাক বক্স' ব্যবস্থা রাখা হয় বিমানে। প্রথমে মেটালিক স্ট্রিপে রেকর্ড হত বিমান মধ্যস্থ সমস্ত ঘটনা। যাতে জলে কিংবা আগুনের গ্রাসে পড়লেও নষ্ট না হয় তথ্য। পরবর্তীতে উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাগনেটিক ড্রাইভ এবং মেমরি চিপ রাখা হয় ব্ল্যাক বক্সে।

বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই বক্স?

সব প্লেনেই দু'রকমের ব্ল্যাক বক্স রাখা থাকে। এটাই নিয়ম। একটা হল- ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (সিভিআর) এবং অপরটি হল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (এফডিআর)। কোনও দুর্ঘটনা হলে এই দুই রেকর্ডিং থেকে কী ঘটেছিল সেটার একটা ছবি ভেসে ওঠে তদন্তকারীদের সামনে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ড থেকে পাওয়া যায় অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশের হিসেব, কোনদিকে যাচ্ছিল বিমান, কত স্পিড ছিল এমন মোট ৮০ রকমের তথ্য পাওয়া যায়।

কিন্তু দুর্ঘটনার পরও ব্ল্যাক বক্স অক্ষত থাকে কীভাবে?

এই প্রশ্ন অনেকের মনেই উঠতে পারে যে বিমান দুর্ঘটনায় যেখানে সমস্ত কিছু কার্যত ভগ্নাবশেষে পরিণত হয় সেখানে এই বক্স বেঁচে যায় কীভাবে। এর প্রধান কারণ হল এটি বানান হয় স্টিল অথবা টাইটেনিয়াম ধাতব পদার্থ দিয়ে। শুধু তাই নয় ইনসুলেটেড লেয়ার থাকে। যার ফলে জলের মধ্যে কিংবা অতিরিক্ত ঠান্ডায় বা আগুনের প্রচন্ড উত্তাপেও যাতে কিছু না হয়। বিমানের একেবারে লেজের দিকে রাখা থাকে এই বক্স। যেখানে ক্র্যাশের রেশ সবচেয়ে কম পড়ে। এখন স্থলভাগে বা জলভাগে ব্ল্যাক বক্স থেকে ৩০ দিন ধরে আল্ট্রাসাউন্ড সিগন্যাল বেরোতে থাকে যাতে কোনও র‍্যাডারে তা ধরা পড়ে তদন্তকারীরা খুঁজে পায়। তবে ব্যতিক্রম ঘটনাও আছে যেমন মালেসিয়ান বিমান দুর্ঘটনায় ব্ল্যাক বক্সটি খুঁজেই পাওয়া যায়নি।

Read the story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

plane crash Air India
Advertisment