দ্য প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস (POCSO) আইন। ১০ বছর আগে এই আইন তৈরি হয়েছিল। শিশুদের যৌন নির্যাতনের সঙ্গে সম্পর্কিত এই আইন। অথচ, দেশজুড়ে চলা পকসো মামলাগুলোর বিশ্লেষণ করলেই দেখা যাবে, আইন ও তার বাস্তবায়নের মধ্যে ঠিক কতটা ফারাক। দেখা যাবে যে, এই আইনের অধীনে বেশিরভাগ মামলাই বিচারাধীন। অভিযুক্তের খালাস পেয়ে যাওয়ার হার অত্যন্ত বেশি।
'পকসোর একদশক'
'পকসোর একদশক'- এই শিরোনামে এই আইনকে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যাতে তুলে ধরা হয়েছে কতটা বিচার মিলেছে। এই আইন কতটা গ্রহণযোগ্য হয়েছে। বিচারের দেরি হওয়া কতটা ঠেকানো গিয়েছে। একইসঙ্গে বিবেচিত হয়েছে বিচার সংস্কারের কর্মসূচি, নথি। সবটাই হয়েছে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায়। বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভারতের ২৮ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৮৬ জেলায় মোট ২,৩০,৭৩০টি পকসো মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এই মামলার আইন, নথি, প্রয়োগ-সব যাবতীয় বিষয় eCourt থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখান থেকেই বকেয়া মামলা এবং আদালতের নির্দেশের সম্পর্কেও তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
কেন পকসো আইন?
পকসো কী এবং এই আইন কেন ২০১২ সালে তৈরি হয়েছিল? ভারতের সংবিধানে শিশুদের অধিকার রক্ষার জন্য বেশ কিছু আইন আছে। কিন্তু, সেটা যথেষ্ট ছিল না। তার মধ্যেই আন্তর্জাতিক দুনিয়ার শিশু অধিকার-সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে ভারত অংশ নিয়েছে। তাতে স্বাক্ষর করেছে। যেমন শিশু অধিকারের কনভেনশন, প্রোটোকল অন দ্য চাইল্ড অন দ্য রাইটস কনভেনশন, শিশুদের বিক্রি, শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের মত বিষয়গুলো রুখতে ভারত বাকি বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিতে চেয়েছে। কিন্তু, সেই পাল্লা দিতে গিয়ে বারবার যথেষ্ট শক্তিশালী আইনের অভাব দেখা গিয়েছে। আর, তাই পকসো তৈরি করা হয়।
আরও পড়ুন- কমিশনে জমা দিলেন এক টাকা ভরা দুই বস্তা, মনোনয়নপত্র পেশ গুজরাটের শ্রমিকের
তথ্য বিশ্লেষণে কী জানা গিয়েছে?
বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে পকসোর আওতায় ৪৩.৪৪% বিচার শেষ হয়েছে অভিযুক্তকে খালাস করার মধ্যে দিয়ে। দোষী সাব্যস্ত হয়েছে মাত্র ১৪.০৩%। এর মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার চেয়ে খালাসের সংখ্যা সাত গুণ বেশি। পশ্চিমবঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার চেয়ে খালাসের সংখ্যা পাঁচ গুণ বেশি। কেরলে খালাস এবং দোষী সাব্যস্তর মধ্যে ব্যবধান খুব বেশি নয়। সেখানে মোট মামলার মধ্যে খালাস হয়েছে ২০.৫%। আর, দোষী সাব্যস্ত হয়েছে মোট মামলার ১৬.৪৯%।
Read full story in English