Advertisment

PMLA & ED: নিজেদের সরকারের পুষ্ট করা আইনে নিজেরাই ফেঁসে গিয়েছে কংগ্রেস! হাত কামড়াচ্ছেন অন্যরাও

PMLA & Oppositions: শুক্রবার প্রকাশিত ইস্তাহার (ন্যায় পত্র)-এ কংগ্রেস বলেছে, তারা ক্ষমতায় এলে- নির্বিচারে তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত করা, অর্থ এবং সম্পত্তি ইচ্ছামত সংযুক্তি, নির্বিচারে গ্রেফতারের অবসান ঘটাবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
ED office, New Delhi

ED office-New Delhi: নয়াদিল্লিতে ইডির অফিস। (এক্সপ্রেস ছবি)

Anti-money laundering law came to have a vast scope: তহবিল তছরুপ রুখতে বানানো আইন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে বিশাল ক্ষমতা তুলে দিয়েছে। ইদানিং ইডি যেভাবে একের পর এক নেতা-মন্ত্রীকে যখন খুশি গ্রেফতার করছে, তা থেকে এই আইনের ক্ষমতা বোঝা যায়। সবচেয়ে বড় কথা হল, এই আইন ইডিকে পুলিশের মত ক্ষমতা দিয়েছে। এর পিছনে শুধু এনডিএ সরকারই নয়, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএরও বিরাট কৃতিত্ব আছে।

Advertisment

নিজেই ফেঁসে গিয়েছে কংগ্রেস

কিন্তু, নিজেদের সরকারের পুষ্ট করা আইনে এবার কংগ্রেস এবং বিরোধীরা নিজেরাই ফেঁসে গিয়েছে। যে কারণে, শুক্রবার প্রকাশিত ইস্তাহার (ন্যায় পত্র)-এ কংগ্রেস বলেছে, তারা ক্ষমতায় এলে- নির্বিচারে তল্লাশি, বাজেয়াপ্ত করা, অর্থ এবং সম্পত্তি ইচ্ছামত সংযুক্তি, নির্বিচারে গ্রেফতারের অবসান ঘটাবে। পাশাপাশি, জামিন সংক্রান্ত এমন নিয়ম চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যে আইন অনুযায়ী জামিনই হবে নিয়ম। আর, জেল হবে ব্যতিক্রম।

'ন্যায় পত্র' নামে ইস্তাহার

ন্যায় পত্র-এর 'সংবিধান রক্ষা' বিভাগে গণতন্ত্র রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। ভয় দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। স্বাধীনতা ধ্বংসের মুখে অভিযোগ করে স্বাধীনতা বাঁচানোরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই সব প্রতিশ্রুতি কার্যত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কার্যকলাপ রোখার আইন। তহবিল তছরুপ প্রতিরোধ আইনের অতিরিক্ত ব্যবহার রোখার চেষ্টা। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে PMLA

বিরোধীদের প্রধান ক্ষোভ ২০০২ সালে তৈরি PMLA আইন নিয়ে। এই আইন ইডিকে অভিযুক্ত রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে জবরদস্তি করে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে। সিপিএম ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেসের শরিক। তারা বৃহস্পতিবার ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। সেই ইস্তাহারে সিপিএম জানিয়েছে, তারা বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বা ইউএপিএ এবং পিএমএলএর মত সমস্ত কঠোর আইন বাতিল করার পক্ষে।

আরও পড়ুন- মুসলিম লিগ আর হিন্দু মহাসভার জোট! দেশভাগের আগে, বাস্তবেই ঘটেছিল এমনটা

বিনা বিচারে দীর্ঘ কারাবাস

PMLA আইনে বিনা বিচারে রাজনীতিবিদদের দীর্ঘ কারাবাসের কথা আছে। আর, এটাই ক্ষুব্ধ করেছে বিরোধী নেতাদের। অথচ এই ব্যবস্থা কিন্তু, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএর শাসনকালেই আইনে যুক্ত হয়েছিল। আবার, ২০১৪ সাল থেকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারও পিএমএলএ-তে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করেছে।

আরও পড়ুন- কী, কেন বিরোধীরা একশো শতাংশ স্লিপ গণনার দাবিতে অনড়? পুরো অঙ্কটা বুঝুন

আদালতে এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল

সুপ্রিম কোর্টে পিএমএলএ-কে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে ২০০টিরও বেশি স্বতন্ত্র পিটিশন জমা পড়েছিল। কিন্তু, ২০২২ সালের ২৭ জুলাই, বিচারপতি এএম খানউইলকর (বর্তমান অবসরপ্রাপ্ত)-এর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ পিএমএলএর সাংবিধানিক বৈধতাকে বহাল রেখেছিল।

Election manifesto CONGRESS Arrest police CPIM ED Election
Advertisment