আর্জেন্তিনীয়রা ভীষণ বিশ্বকাপের ভক্ত। একথা আজ একবাক্যে গোটা বিশ্বই মেনে নিয়েছে। রবিবারই যেমন হাজার হাজার আর্জেন্টিনার সমর্থক ফাইনাল দেখতে ম্যাচ শুরুর অনেক আগেই স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়েছেন। যাঁদের ছন্দময় গান, অবিরাম ড্রামিং গ্যালারিতে ফাইনালেও নজর কাড়বে। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সাফল্যের ইতিহাস বলতে ১৯৭৮ এবং ১৯৮৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তিনবার রানার্স হওয়া। কাতারে রবিবারের ফাইনালেও গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে মেসি আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দিতে নামলেই গ্যালারিতে সমর্থকদের উন্মাদনার ঝড় উঠবে।
এমনিতে গোটা বিশ্বই বিশ্বকাপের ওপর নজর রাখে। ব্রাজিল থেকে বেলজিয়াম, মরক্কো থেকে মেক্সিকো, সৌদি আরব থেকে স্পেন- সব দেশ। তবে খুব কম দেশের ফুটবল অনুরাগীরাই আর্জেন্টিনার মতো বড় সংখ্যায় এবার কাতারে এসেছে। আর্জেন্টিনার সান আন্দ্রেস বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক সান্তিয়াগো অ্যালেস এই প্রসঙ্গে বলেন, 'আমরা ফুটবল নিয়ে ভীষণ যত্নশীল। দেশবাসী ফুটবল নিয়ে গর্বিত। কারণ, আমরা ফুটবলকে ভালোবাসি।'
আর্জেন্টিনায় মুদ্রাস্ফীতি ১০০% ছুঁয়েছে। বেকারত্ব বেশি এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধি অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। রাজনীতির মধ্যে বিদ্বেষ স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু বিশ্বকাপের সময় যেন এর কোনওটাই আর গুরুত্বপূর্ণ থাকে না। এমনকী, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও যেন এই সময়ে একটি অলিখিত যুদ্ধবিরতি ডাকে। এই সময়টায় আলোচনায় উঠে আসে কেবলমাত্র ফুটবল, আর কিছু নয়। সেই কথা মাথায় রেখেই অধ্যাপক সান্তিয়াগো অ্যালেস বলেন, 'বিশ্বের দক্ষিণ গোলার্ধের একটি দেশের কাছে উত্তর গোলার্ধকে পরাজিত করার সুযোগ ঘন ঘন আসে না।'
আরও পড়ুন- মেসির আর্জেন্টিনা নয়, এমবাপের ফ্রান্সের জন্য তুমুল যজ্ঞ চলছে চন্দননগরে
অ্যালেস আরও বলেন, 'বিশ্বকাপ সেই সুযোগ এনে দিয়েছে। জাতীয় অহংকার এমন একটা ব্যাপার, যা আপনি কিছুতেই কেড়ে নিতে পারবেন না। অ্যালেস জানিয়েছেন যে আর্জেন্টিনার সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে যে কাতারে জাপানি ভক্তরা কীভাবে আর্জেন্টিনার উল্লাস করার শৈলী অনুকরণ করেছেন। আর্জেন্টিনার সুর নকল করেছেন। ঢোল বাজানো নকল করেছেন। এমনকী, আর্জেন্টিনার উল্লাসের শব্দের জাপানি অর্থ ব্যবহার করেছেন। এই প্রসঙ্গে অ্যালেস বলেন, 'আমরা আমাদের খেলা দেখার কায়দা অন্য জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছি। সম্পূর্ণ ভিন্ন সংস্কৃতি-সহ দূরের জায়গাগুলোতেও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের খেলা দেখার কায়দা নকল করা হচ্ছে। এতে গর্ব তো হবেই।'
Read full story in English