Advertisment

জলে আর্সেনিক ও আয়রন দূষণ: বাংলা এগিয়ে

আর্সেনিক ও আয়রনের সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম। পানীয় জলে আর্সেনিক ও আয়রন দূষণে দেশের ৩০ হাজারের মত গ্রাম দুষ্ট। এর মধ্যে ২০ হাজার গ্রামীণ এলাকা পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Water Pollution

ছবি- শশী ঘোষ

দেশের সমস্ত রাজ্যের সব মিলিয়ে মোট ৫৫, ৫১১টি গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জলের মান সন্তোষজনক নয়। এ বছরের ২৭ নভেম্বরের হিসেব অনুযায়ী, সারা দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে গ্রামীণ মানুষের মোট ৩.২২ শতাংশ, এবং মোট জনসংখ্যার ৩.৭৩ অংশ শুদ্ধ জল পান করার সুযোগ পান না। সংসদে জলশক্তি মন্ত্রকের তরফ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর মধ্যে আর্সেনিক ও আয়রন দূষণের দিক থেকে দেখলে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের।

Advertisment

জলকে সবচেয়ে দূষিত করে আয়রন। আয়রনের জন্য মোট ১৮ হাজার গ্রামীণ এলাকার জল দূষিত হয়। এর পর রয়েছে লবণ- নোনাজলের জন্য দূষিত হয় ১৩ হাজার গ্রামীণ এলাকা, আর্সেনিকের জন্য ১২ হাজার এবং ফ্লোরাইডের জন্য ৮০০০ গ্রামীণ এলাকা দূষিত হয়।

Water Pollution, Arsenic

রাজস্থানের গ্রামীণ এলাকা সবচেয়ে বেশি জলদূষণে ভোগে- মোট ১৬৮৩৩টি। এর মধ্যে ১২ ৮১২ টি গ্রামীণ এলাকার মূল সমস্যা নোনা জল।

আর্সেনিক ও আয়রনের সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভুগছে পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম। পানীয় জলে আর্সেনিক ও আয়রন দূষণে দেশের ৩০ হাজারের মত গ্রাম দুষ্ট। এর মধ্যে ২০ হাজার গ্রামীণ এলাকা পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে।

আর্সেনিক দূষণে সবচেয়ে বেশি ভুগছে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ এলাকা, মোট ৬২০৭টি। আসামে এ সংখ্যা ৪১২৫, বিহারে ৮০৪, পাঞ্জাবে ৬৫১ এবং উত্তর প্রদেশে ৬৫০টি।

আয়রন সমস্যা সবচেয়ে বেশি আসামে, ৫১১৩টি গ্রামীণ এলাকা এই দূষণে ভুগছে। এর পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ৫০৮২, ত্রিপুরা ২৩৭৭, বিহার ২২৯৯, এবং ওড়িশা ২১০০।

বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত এলাকা এ ধরনের দূষণ মুক্ত। এর মধ্যে রয়েছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, গোয়া, গুজরাট, হিমাচলপ্রদেশ, লাদাখ, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পুদুচ্চেরি, সিকিম এবং তামিলনাড়ু।

Advertisment