কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার রাজ্যসভায় ঘোষণা করেছেন সরকার ৩৭০ ধারা পরিবর্তন করে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে। একবার দেখে নেওয়া যাক সংবিধানে কী বদল ঘটল এবং জম্মু-কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ কী!
কয়েকটি তাৎপর্যহীন বদল আনা হয়েছে এই নির্দেশিকায়। এর মধ্যে সদর এ রিয়াসতের পদটিকে রাজ্যের রাজ্যপাল পদে নিয়ে আসা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির নির্দেশবলে দেশের সংবিধানের সবকিছুই এখন জম্মু কাশ্মীরের জন্য লাগু।
৩৭০ ধারা কি বাতিল হয়েছে?
রাষ্ট্রপতির নির্দেশে ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়নি। কিন্তু এই ধারাবলে জম্মু কাশ্মীরের যে বিশেষ মর্যাদা তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ৩৭০ ধারা সংবিধানে রয়েছে।
আরও পড়ুন, কাশ্মীরে ৩৭০: কী বলেছিলেন বাজপেয়ী, কেন তাঁকে মনে পড়ল গৃহবন্দি মেহবুবা মুফতির
৩৫এ ধারার কী অবস্থা?
৫ অগাস্টের নির্দেশে দেশের সংবিধান যেহেতু পুরোপুরি কাশ্মীরের জন্য লাগু, ফলে মৌলিক অধিকারের ক্ষেত্রগুলিও সম্প্রসারিত হয়েছে এবং এর ফলে ৩৫ এ ধারার পক্ষপাতমূলক বিধিগুলি অসাংবিধানিক হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রপতি ৩৫এ ধারা প্রত্যাহারও করতে পারেন।
কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ পদমর্যাদা কী হবে?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্যের পুনর্গঠনের বিল এনেছেন। রাজ্যকে এখন দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে- জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখ। আইনগত দিক থেকে দেখতে গেলে, সংবিধানের ৩ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদে সংখ্যাধিক্যের বলেই একটি রাজ্যেক সীমানা বদলে দিয়ে নতুন রাজ্য তৈরি করতে পারে। কিন্তু তেমন বদল ঘটাতে গেলে বিলটিকে প্রথমে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিধানসভায় মতামতের জন্য পাঠাতে হবে। ৩ নং অনুচ্ছেদের ২ নং ব্যাখ্যানুসারে সংসদের ক্ষমতা রয়েছে রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার।
আরও পড়ুন, ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি রাষ্ট্রসংঘের সিদ্ধান্ত বিরোধী: পাকিস্তান
তার মানে এই নয় যে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহৃত হয়েছে, তবে কাশ্মীরের মর্যাদা এখন অন্য রাজ্যের থেকে নিম্ন স্তরে। ২৯টি রাজ্যের বদলে এখন ভারতে রাজ্যের সংখ্যা ২৮। কাশ্মীরের সাংবিধানিক প্রধান এবার থেকে আর রাজ্যপাল নন, দিল্লি ও পণ্ডিচেরীর মতই এর মাথায় থাকবেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর।
(লেখক হায়দরাবাদের নালসার আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য)