মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের মধ্যেই ইন্দো-আমেরিকান রাজনীতিবিদ অরুণা মিলার বুধবার (৯ নভেম্বর) মেরিল্যান্ড রাজ্যে লেফটেন্যান্ট গভর্নরের পদে বসলেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক হিসেবে তৈরি করলেন নতুন ইতিহাস। জয়ের পর মিলার টুইট করেন, '১৯৭২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর থেকে নাগরিকদের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পালনের চেষ্টা করেছি। এই লড়াই আমি কখনও বন্ধ করব না। এবার এই প্রতিশ্রুতি আদর্শ মেরিল্যান্ড তৈরির। যেখানে কেউ কারওর চেয়ে কোনও অংশে পিছিয়ে থাকবে না।'
এই প্রথম অশ্বেতাঙ্গ কেউ মেরিল্যান্ডের গভর্নর
অরুণ মিলারের বর্তমান বয়স ৫৭ বছর। এই প্রথম কোনও কালো চামড়ার প্রার্থী মেরিল্যান্ডের গভর্নর পদে বসলেন। মিলারের সঙ্গেই প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ওয়েস মুরি। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত দেখা গিয়েছে যে রেকর্ড ভোটে জিতেছেন অরুণা মিলার।
হায়দরাবাদে জন্ম মিলারের
১৯৬৪ সালের ৬ নভেম্বর, হায়দরাবাদে জন্মগ্রহণ করেন অরুণা মিলার। তাঁর যখন সাত বছর বয়স, সেই সময়ই পরিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসে। তিনি নিউ ইয়র্কে বড় হয়েছেন। মিসৌরি ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ২,০০০ সালে তিনি মার্কিন নাগরিক হন।
পরিবহণ বিভাগে কাজ করেছেন
তবে, তার আগে ৯০-এর দশক থেকেই তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবনের সূত্রপাত। সেই সময় তিনি ক্যালিফোর্নিয়া, হাওয়াই এবং ভার্জিনিয়াতে স্থানীয় সরকারগুলির জন্য একজন পরিবহণ প্রযুক্তিবিদ হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৯০ সালে তিনি মেরিল্যান্ডে চলে আসেন। সেখানে তিনি পরিবহণের মন্টগোমারি কাউন্সিল ডিপার্টমেন্টের হয়ে কাজ করেন।
আরও পড়ুন- বিরাট ধাক্কা নীরব মোদীর, ভারতে প্রত্যর্পণের আদেশ ব্রিটিশ হাইকোর্টের
আইনসভার প্রতিনিধি হয়েছেন
তিনি বেশ কয়েকবার আইনসভার প্রতিনিধি হয়েছেন। ২০১০ এবং ২০১৮ সালের মধ্যে, মিলার মেরিল্যান্ড হাউস অফ ডেলিগেটসে ১৫তম জেলার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১৮ সালে, মেরিল্যান্ড রাজ্যের ষষ্ঠ কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে ডেভিড ট্রনের কাছে পরাজিত হন।
এরপর এল প্রত্যাশিত জয়
৮ নভেম্বর রাতে, মুরি এবং মিলারকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের প্রচার সমর্থন করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও। মিলার নির্বাচনের সময় দ্বিদলীয় সমর্থন পেয়েছেন। বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট রিপাবলিকান তাঁর হয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছেন। আর, তাঁর পক্ষে কথা বলেছেন।
Read full story in English