ভারতের দুই পড়শি দেশ চিন ও নেপালের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে এখনও সমস্যা জারি। এই উত্তেজনাকর ও সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্যার প্রেক্ষাপটে উত্তরাখণ্ড সরকার আন্তর্জাতিক সীমান্তে প্রতিরক্ষা বাহিনী-সহ অবকাঠামো জোরদার করার ব্যবস্থা নিয়েছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে, রাজ্য সরকার বেশ কয়েকটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা পার্বত্য রাজ্যের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলিতে সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনী উভয়ের কার্যক্রম জোরদার করতে সহায়তা করবে।
কেন উত্তরাখণ্ড সীমান্ত এত গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তরাখণ্ড চিনের সঙ্গে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার সীমান্ত এবং নেপালের সঙ্গে ২৭৫ কিলোমিটার সীমানা ভাগ করে নিয়েছে। রাজ্যের ১৩টি জেলার মধ্যে পাঁচটি সীমান্ত জেলা। চামোলি ও উত্তরকাশি চিনের সীমানা ভাগ করে নিচ্ছে, যেখানে উধম সিং নগর ও চম্পাওয়াতের সীমানা নেপালের সঙ্গে রয়েছে।
রাডার এবং কৌশলগত বিমান ক্ষেত্রগুলি কীভাবে রয়েছে?
সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ঘটনার পর উত্তরাখণ্ড সরকার ভারতীয় বিমানবাহিনীকে (আইএএফ) চিন সীমান্তবর্তী তিনটি জেলা - চামোলি, পিথোরাগড় এবং উত্তরকাশীতে বিমান প্রতিরক্ষা রাডার স্থাপনের জন্য জমি সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। আইএএফ পার্বত্য অঞ্চলে তাঁদের কার্যক্রম সহজ করার জন্য একটি নতুন অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছে। শুক্রবারই এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরেছেন এয়ারমার্শাল রাজেশ কুমার। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে সরকার এবং আইএএফ নোডাল অফিসারদের মনোনীত করবে যারা এই সুবিধার জন্য জমি চিহ্নিত করতে একত্রে কাজ করবে।
টেলিকম ব্যবস্থা উন্নত করার চেষ্টা
উত্তরাখণ্ড মন্ত্রিসভা রাজ্যটির তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) নীতিতে একটি সংশোধনী অনুমোদন করেছে যাতে বেসরকারি টেলিযোগাযোগ সংস্থাগুলিকে "অন্ধকার গ্রামগুলিতে" টাওয়ার স্থাপনের সুবিধার্থে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়, যেখানে বর্তমানে টেলিযোগাযোগের সুবিধা অনুপলব্ধ রয়েছে।" বিদিশ সিংহ বিচ্ছিন্ন রাজ্য বিজেপি নেতা এবং দিদিহাট বিধানসভা কেন্দ্রের (চার বারের বিধায়ক), আলমোড়া লোকসভা কেন্দ্রের পিঠোড়গড় জেলায়) বলেন, "আমার নির্বাচনী এলাকার দুই ডজনেরও বেশি অন্ধকার গ্রামে প্রায় ২৫,০০০ জনসংখ্যার টেলিযোগযোগ সংযোগের অভাব রয়েছে,"।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন