বিশ্বব্যাপী করোনা অতিমারীর ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং পরিকাঠামোয় ব্যাপক বদল এসেছে। সব দেশই বিশ্বায়ণ থেকে দূরে সরে গিয়ে নিজেদের উন্নতির সাধনের চেষ্টায় রয়েছে। ভারতও অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেদের আত্মনির্ভরশীলতা এবং দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধির দিকেই নজর দিচ্ছে। আর সেই কারণেই 'আত্মনির্ভর ভারত' তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কিন্তু এর সঙ্গে চিনের অভ্যন্তরীণ নীতির কী সম্পর্ক থাকতে পারে? প্রাক্তন বিদেশ সচিব শ্যাম সরনের মতে ভারত যেমন চিনা পণ্যে ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তেমন চিনও 'ডুয়েল সার্কুলেশন'-এর মাধ্যমে আত্মনির্ভর অর্থনৈতিক কৌশল গ্রহণ করেছে। এই কৌশলটি হল, "দেশীয় বাজারকে মূল ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে দেশের এবং বিদেশের বাজারকে একে অপরের পরিপূরক করে তোলা।।"
আরও পড়ুন, চিনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে পারে ভারত! কীভাবে?
এই শব্দটি সর্বপ্রথম ১৪ মে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি পলিটব্যুরোর বৈঠকে ব্যবহৃত হয়েছিল। এটিকে এমন একটি নীতি হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল যা "অতি-বৃহত্তর বাজার এবং সম্পূর্ণভাবে একটি নতুন দেশীয় বিকাশের ধাঁচ প্রতিষ্ঠার জন্য অভ্যন্তরীণ চাহিদার সম্ভাবনাকে পুরোপুরিভাবে সামনে আনবে। যেখানে দেশের এবং বিদেশের বাজার একে অপরের পরিপূরক হয়ে উঠবে।
গত কয়েক বছর ধরে চিন একটি বিনিয়োগ এবং রফতানি বৃদ্ধির কৌশল থেকে দেশীয় পণ্যে ব্যবহার এবং পরিষেবার উপর ভিত্তি করে নয়া নীতিতে সরে আসছে। এক দশক আগে প্রায় ৩৫ শতাংশের তুলনায় আজ জিডিপি ব্যবহারের পরিমাণ বেড়েছে ৫৬ শতাংশে। ২০০৭ সালে রফতানি জিডিপির ৩৬ শতাংশ ছিল তবে ২০১৯ সালে এটি কেবল ১৮ শতাংশ ছিল। এর থেকেই স্পষ্ট আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা চিনও করছে। আর বিগত কয়েক দশক ধরে চলা মার্কিন-চিন দ্বন্দ্ব বর্তমানে প্রকট হয়ে উঠেছে। আগামীতে হোয়াইট হাউস যেই দখল করুক চিনের জন্য তা যে সমাধান বাতাবরণ তৈরি করবে তা নয়। তাই নিজের দেশের পরিকাঠামোকেই আরও দৃঢ় করতে সচেষ্ট হচ্ছে শি জিনপিংয়ের দেশ।nIti
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন