Attempting to low legal separation: বর্তমান সময়ে বিয়ের থেকেও দ্রুতহারে বাড়ছে ডিভোর্সের ঘটনা। নানা কারণে দাম্পত্যজীবনে পরস্পরকে মেনে নিতে পারছেন না স্বামী-স্ত্রী। যার জেরে বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই পরিবার ভেঙে যাচ্ছে। অনেক সময়ই দেখা যাচ্ছে যে বিবাহ বিচ্ছিন্ন স্বামী বা স্ত্রী ফের কোথাও বিয়ে করছেন। সেই সংসারও কতদিন টিকবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। তাই বিচ্ছেদ ঠেকাতে বা সংসার বাঁচাতে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে উঠেছে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
মডেল দুটি রাষ্ট্র
এই ভাবনায় বিশ্বাসী বিশেষজ্ঞদের মডেল এখন বিশ্বের দুটি রাষ্ট্র। তার মধ্যে একটি আবার ধর্মীয় রাষ্ট্র। যার নাম ভ্যাটিকান সিটি। এই ধর্মীয় রাষ্ট্রের শাসক, ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান, পোপ। অপর রাষ্ট্রটি আবার এশিয়ার দেশ। তার নাম ফিলিপাইনস। এই দুটি দেশে ডিভোর্স দেওয়া যায় না। ডিভোর্স ব্যাপারটা বেআইনি। এনিয়ে দম্পতিদের একাংশের বিরাট প্রতিবাদের পর ফিলিপাইনসের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ 'বংবং' মার্কোস জুনিয়র বলেছেন যে কিছু ক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদের বিকল্প পদ্ধতি থাকা উচিত। তবে, 'অনেক জায়গাতেই বিবাহবিচ্ছেদ ঘটানো অত্যন্ত সহজ ব্যাপার। সেরকমটাও হওয়া উচিত না।'
নতুন আইনের চেষ্টা
প্রেসিডেন্টের এই ভাবনা থেকেই ফিলিপাইনসের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ গত সপ্তাহে দেশটিতে বিবাহ বিচ্ছেদের আইন করতে একটি বিল পাস করেছে। বিলের লেখক, পার্লামেন্টের প্রতিনিধি এডসেল ল্যাগম্যান বলেছেন, 'ভ্যাটিকান ছাড়া বিশ্বের একমাত্র দেশ ফিলিপাইনস, যেখানে বিবাহবিচ্ছেদ এখনও বেআইনি। এটা এই দেশের এক বিরাট ঐতিহ্য। প্রশংসনীয় জয়। তবে যেসব ফিলিপিনো স্ত্রীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে, যাঁরা নিয়মিত অপমান সহ্য করছেন, যাঁদের বিয়ের কার্যত মৃত্যু ঘটেছে, তাঁদের মুক্তির জন্য নতুন আইন তৈরি হচ্ছে।' বিলটি আগস্টে পার্লামেন্টের অপরকক্ষ সিনেটে যাবে। শেষে আইনে পরিণত হতে প্রেসিডেন্টের সম্মতিসূচক সই লাগবে। ল্যাগম্যান জানিয়েছেন, এই আইন বিয়ে এবং সামাজিক সম্পর্ক সম্বন্ধে ফিলিপাইনসের নতুন দৃষ্টিভঙ্গিকে তুলে ধরবে।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা বিজেপির! হাইকোর্টের রায়ই বহাল, তৃণমূলের জয়ের পিছনে কোন রহস্য?
আগেও আইন তৈরির চেষ্টা
এই আইন তৈরির চেষ্টা অবশ্য ফিলিপাইনসে নতুন নয়। কিন্তু, ফিলিপাইনসের জনসংখ্যার ধর্মীয় ভাবনা সেই চেষ্টাকে বাধা দিয়েছিল। ২০২০ সালের আদমশুমারি অনুসারে, ফিলিপাইনসে রোমান ক্যাথলিকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। মোট জনসংখ্যার ৭৮.৮%। যা শতাংশের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে অনেক বেশি।