উষ্ণ জলবায়ু অঞ্চলে কলার ফলন ভাল হয়। ভারত কলার সবচেয়ে বড় উৎপাদক দেশ এবং সবচেয়ে বড় উপভোক্তা দেশও বটে। গোটা গ্রহই যখন উষ্ণতর হচ্ছে, তখন কলার উৎপাদন কি বাড়তির দিকে না কি এর কুফল রয়েছে? একটি নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে জলবায়ুর পরিবর্তন কলা উৎপাদনে সহায়তা করলেও ভবিষ্যতে এর ফল উল্টো হবে, জলবায়ুর বদল কলার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
গবেষণায় যা দেখা গিয়েছে
নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ পত্রিকায় এ সম্পর্কিত গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অফ এক্সেটারের ডক্টর ড্যান বেবের ও গবেষক ডক্টর বরুণ ভার্মা এই গবেষণা করেছেন।কলার উৎপাদনে জলবায়ু পরিবর্তনের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রভাব, দুটি প্রেক্ষাপটই তাঁদের গবেষণায় ধরা পড়েছে। গবেষণায় এঁরা দেখিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কলার উৎপাদনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হওয়ায় ১৯৬১ সাল থেকে হিসেব করলে পৃথিবীর মোট ২৭ টি দেশ, যারা পৃথিবীর মোট ৮৬ শতাংশ মিষ্টি কলার উৎপাদক, তাদের কলার উৎপাদন বছরপ্রতি উৎপাদন ১.৩৭ টন প্রতি হেক্টরে বেড়েছে।
কলা উৎপাদন বেড়েছে নিয়মিত ভাবে
ভারতে ২০১৬-১৭ সাল পর্যন্ত কলার উৎপাদন গত ৬ বছর ধরে একই রকম রয়েছে।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে ২৭টি দেশে কলার উৎপাদন বেড়েছে, প্রত্যাশিত হারেই যদি জলবায়ুর বদল ঘটতে থাকে, তাহলে সেগুলিতে ২০৫০ সালের মধ্যে কলার উৎপাদন তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস পাবে, বা বিলুপ্ত হবে। গবেেষণায় অনুমান করা হচ্ছে, ভারত ও কলা উৎপাদনে চতুর্থ ব্রাজিল সহ ১০টি দেশে কলার উৎপাদন ব্যাপক হারে কমবে।
ওই গবেষণাতেই আবার দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কলা রফতানিকারক দেশ ইকুয়েডর এবং হন্ডুরাস সহ বেশ কিছু আফ্রিকার দেশ কলার উৎপাদনে লাভবান হবে।
কেন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ
কলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফল যা একদিক থেকে যেমন খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যার পুষ্টিগুণ রয়েছে এবং সারা পৃথিবীতে গ্রামীণ ও শহর এলাকায় বহু পরিমাণ মিলিয়ন ডলার উপার্জন হয়। উদাহরণ হিসেবে ব্রিটেন প্রতি বছর পাঁচ বিলিয়নের বেশি সংখ্যক কলা কেনে।
এ ধরনের আন্তর্জাতিক ব্যবসা স্থানীয় ও জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন, কলা এবং তা থেকে উৎপাদিত পণ্য ইকুয়েডর ও কোস্টারিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম কৃষি রফতানি পণ্য।
Rea the Full Story in English