Bangladesh Election 2024: কেন বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে ভারত, কতটা প্রয়োজন?

Bangladesh Election: একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও বন্ধুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ ভারতের স্বার্থবাহী। এই কারণেই ভারত আশা করবে যে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ফিরে আসবেন।

Bangladesh Election: একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও বন্ধুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ ভারতের স্বার্থবাহী। এই কারণেই ভারত আশা করবে যে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ফিরে আসবেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
heikh Hasina

Election In Bangladesh: ২০২৪ সালের ৩ জানুয়ারি, ঢাকায় সাধারণ নির্বাচনের আগে রাস্তার ধারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দেওয়া আওয়ামি লিগের একটি নির্বাচনী ব্যানারের সামনে লোকেরা রাস্তায় বিক্রেতার থেকে কেনাকাটা করছেন। (ছবি: রয়টার্স)

  • দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত ৪,১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ।
  • বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্যের পঞ্চম বৃহত্তম রফতানি ক্ষেত্র।
  • সন্ত্রাস রুখতে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন হাসিনা।
Advertisment

রবিবার, ৭ জানুয়ারি (7th January) বাংলাদেশের নির্বাচনে কড়া নজর রাখবে ভারত। ভারত এবং বাংলাদেশ (India & Bangladesh)-এর মধ্যে ৪,১০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত আছে। দুই দেশের মধ্যে গভীর ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কও আছে। সেই কারণেই একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও বন্ধুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ চায় ভারত। সেই লক্ষ্যে ভারত দৃঢ়ভাবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়েছে। ভারতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং মিত্রদের একজন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বছরের পর বছর ধরে লাগাতার চেষ্টায় দুই দেশের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ, পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশ নির্বাচনে হাসিনাকে সমর্থন করছে ভারত-চিন, কিন্তু কেন?

জাতীয় নিরাপত্তা
হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার আগে, পূর্ববর্তী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি/BNP) নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের প্রতি বেশ বৈরী ছিল। শুধু তাই নয়, অসংখ্য ভারতবিরোধী সন্ত্রাসী ও জঙ্গি গোষ্ঠীকে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছিল বলেও অভিযোগ। বিএনপির সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, বিএনপি কট্টরপন্থী ইসলামি জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছে। অন্যদিকে শেখ হাসিনা একজন অত্যন্ত সহযোগিতায় বিশ্বাসী নেত্রী। তিনি নাটকীয়ভাবে ভারতের দীর্ঘ পূর্ব সীমান্তে নিরাপত্তার বোঝা কমিয়েছেন। ভারত বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে ধরপাকড় বজায় রেখেছেন। ভারতের সঙ্গে সন্ত্রাস-বিরোধিতায় সহযোগিতা করেছেন। গত এক দশক বা তারও বেশি সময় ধরে ভারতের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে উন্নত করেছেন। বিশেষ করে অবনতির পথে চলা মায়ানমারের পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ভারত ও বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা অংশীদার হওয়াটা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

Advertisment

আরও পড়ুন- Ram Lalla for Ayodhya: অযোধ্যার রামমন্দিরের রাম লালার মূর্তির কারিগর, চেনেন অরুণ যোগীরাজকে?

গভীর আর্থিক বন্ধন
গত কয়েক বছরে দক্ষিণ এশিয়ার একটি বড় পরিবর্তন হল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্থান। যা এই অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে পাকিস্তানের আসন দখল করে নিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশের জিডিপি ছিল ৪৬০ বিলিয়ন ডলার, যা পাকিস্তানের ৩৭৫ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি। ২০২২-২৩ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাশাহি, নেদারল্যান্ডস এবং চিনের পরে বাংলাদেশ ভারতীয় পণ্যের জন্য পঞ্চম বৃহত্তম রফতানি ক্ষেত্র। এটি সমস্ত ভারতীয় রপ্তানির ২.৭ শতাংশেরও বেশি। যার পরিমাণ ১২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। হাসিনার আমলে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সড়ক এবং জলপথে ব্যবসা বেড়েছে। পাশাপাশি, বাংলাদেশ উপমহাদেশে ভারতের অর্থনৈতিক সহযোগিতার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন- বিপাকে আদানি, কড়া সুপ্রিম কোর্ট, তিন মাসে সেবিকে তদন্ত শেষের নির্দেশ

India pakistan Election Bangladesh