Advertisment

Explained: আগামী বছরের ভোটকে মাথায় রেখে ঢাকায় প্রতিবাদ মিছিল, কী দাবি বিএনপির?

সভামঞ্চে দুটি চেয়ার ছিল ফাঁকা। কিন্তু, কেন?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Bangladesh Agitation

বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি বা বিএনপি শনিবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এক মহামিছিল এবং সভার আয়োজন করেছিল। হাসিনা সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে লাগাতার ধরপাকড় চালাচ্ছে। তারপরও তাদের সংগঠন যে চাঙ্গা হচ্ছে, এই মহামিছিলের মাধ্যমে সেই বার্তা দিয়েছে বিএনপি। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় রয়েছেন শেখ হাসিনা। তাঁর সরকারের জমানায় বাংলাদেশে আর্থিক দুরবস্থা চলছে, স্বৈরতন্ত্র চলছে বলেই মিছিল থেকে কার্যত অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতৃত্ব।

Advertisment

সভার চেহারা
ঢাকার এই সভায় কাতারে কাতারে বিএনপি সমর্থক যোগ দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত- রাজশাহি, চট্টগ্রাম, ময়মনসিং, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট এবং কুমিল্লা থেকে সভায় এসেছিলেন বিএনপি সমর্থকরা। বর্তমানে এটা বিএনপির সভায় রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে যে প্রত্যেক সভামঞ্চে দুটি করে চেয়ার ফাঁকা থাকে। এই দুটি চেয়ারের একটি থাকে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য। ২০১৭ সালে তাঁর সাত বছরের জেল হয়েছে। পরে, ২০২০ সালে ঢাকা ছাড়তে পারবেন না, এই শর্তে তিনি মুক্তি পেয়েছেন। তারপর গতবছর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বেগম জিয়া। অন্য চেয়ারটি ফাঁকা থাকে বিএনপির কার্যনির্বাহী চেয়ারপার্সন তারিক রহমানের জন্য। ২০০৪ সালে শেখ হাসিনাকে খুনের চেষ্টার মামলায় তারিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। তারপর থেকেই লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে আছেন তারিক।

আরও পড়ুন- ভারত-চিন সংঘর্ষে উত্তপ্ত সীমান্ত, ঠিক কী হয়েছিল? কী জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী?

বিএনপির দাবি
যাইহোক, ঢাকার সভায় বিএনপি, হাসিনা সরকারের কাছে ১০টি দাবি রেখেছে। আগামী বছর জাতীয় নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন। এমন সরকার গঠনের কথা বাংলাদেশের সংবিধানে ১৯৯৬ সালে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। পরে অবশ্য শেখ হাসিনা সরকার সেই আইনের অবলুপ্তি ঘটায়। বিএনপির দ্বিতীয় দাবি হল, নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আর, নিরপেক্ষ সরকারের সর্বদলীয় প্রতিনিধি রাখতে হবে। একইসঙ্গে তাদের দাবি, ইভিএমের মাধ্যমে ভোটাভুটির অবসান ঘটাতে হবে। সব বিরোধী এবং ধর্মীয় নেতাদের সাজা মকুব করতে হবে। বিরোধী নেতাদের ওপর থেকে মিথ্যে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এর আগে এই সব দাবি ২০১৮ সালেও তুলেছিল বিএনপি। কিন্তু, হাসিনা সরকার সেই সব দাবি না-মানায় বিএনপির সাত পার্লামেন্ট সদস্যের সকলেই ইস্তফা দিয়েছিলেন।

Read full story in English

Sheikh Hasina Election Begam Khaleda Jia
Advertisment