ফিনসেইন ফাইলগুলি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারির ফিনান্সিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক। যে সংস্থাটি শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল রেগুলেটর হিসাবে কাজ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিভাগের কাছে দায়ের করা ২১০০-এরও বেশি "সন্দেহজনক কার্যকলাপের রিপোর্ট" (এসএআরএস) ফাইল যা অর্থনৈতিক তছরূপের বিরুদ্ধে কাজ করে। ১৯৯৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ২ ট্রিলিয়ন ডলার অবৈধ লেনদেন, ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক সংস্থাগুলির আধিকারিকদের দ্বারা অর্থপাচার এবং অন্যান্য অপরাধমূলক ক্রিয়াকলাপের সম্ভাব্য প্রমাণ হিসেবেও চিহ্নিতও করে।
এই সন্দেহজনক কার্যকলাপ প্রতিবেদন (এসএআর) কী?
এসএআর বা সন্দেহজনক কার্যকলাপের প্রতিবেদনটি হল সন্দেহজনক ক্রিয়াকলাপের যা ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দ্বারা দায়ের করা একটি নথি। মার্কিন কর্তৃপক্ষকে এই নথি দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে ফিনসেন হল সেই ফাইলস। এগুলি গোপনীয়। এতটাই গোপনীয় যে ব্যাঙ্কগুলিকেও এগুলির অস্তিত্ব নিশ্চিত করার অনুমতি দেওয়া হয় না। আসলে, অ্যাকাউন্টে কোনও লেনদেন সম্পর্কিত কোনও এসএআর ফাইল করা হলেও তা অ্যাকাউন্টধারীরাও অজানা থাকে এক্ষেত্রে। আর ফিনসেনে এই এসএআর একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটের সঙ্গে দায়ের করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, দেখা গিয়েছে ১০ লক্ষ টাকা হয়তো পাঠানো হয়েছে এক একটি অ্যাকাউন্টে। কখনও পিৎজার দোকানে কম্পিউটার পার্টস এর জন্য টাকা লেনদেন করছে ডায়মন্ড ডিলার। যা অবশ্যই ভাবিয়ে তোলার বিষয়। অনেকসময়ই রাজনৈতিক ক্ষেত্রের সহায়তায় কিংবা হাই রিস্ক জুড়িসডিকশনে করা হয় এই লেনদেন।
এই এসএআর প্রমাণ কি অপরাধ কিংবা অবৈধতার প্রমাণ? যদি তা না হয় তাহলে এর গুরুত্ব কোথায়?
একটি এসএআর কোনও অভিযোগ নয়। এটি সম্ভাব্য অনিয়মিত কার্যকলাপ এবং অপরাধ সম্পর্কে সতর্ক করার একটি উপায়। ফিনকেন এফবিআই, ইউএস ইমিগ্রেশন এবং শুল্ক-সহ আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এসএআরএস ভাগ করে নেওয়া হয়। এগুলি অপরাধ সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। তবে আইনী মামলা প্রমাণের জন্য প্রত্যক্ষ প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করা যায় না। কর বাঁচতে বা এড়াতে অর্থ বিশ্বের কোথায় কোথায় যাচ্ছে তার হদিশ।
ফিনসেন ফাইলগুলি ভারতে তদন্তকারীদের কী তথ্য দিতে পারে?
ভারতের এজেন্সিগুলির জন্য স্পষ্ট বার্তাটি হ'ল এই যে দেশের আর্থিক জালিয়াতি এবং দুর্নীতির মামলাগুলি বিশ্বের সর্বাধিক শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে। কারণ, ফিনসেন ফাইলগুলিতে এসএআর রয়েছে যা ভারতীয় ব্যক্তিদের অনেক ক্ষেত্রে তাদের অনিয়মের আর্থিক ইতিহাস উল্লেখ করে। ব্যাঙ্কিং লেনদেনের বিশদ রয়েছে যা রাউন্ড ট্রিপিং, মানি লন্ডারিং-এর মতো লেনদেনের সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়। গোপন তথ্যে ৪৪টি ভারতীয় ব্যাঙ্কের নাম রয়েছে। যা নয়া প্রশ্নের উত্থাপন করছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন