Advertisment

কেন দেউলিয়া হতে হল অনিল আম্বানিকে?

অনিলের মালিকানাধীন দু’টি সংস্থা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা লোন নিলেও তা ফেরত দেয়নি। লোনের গ্যারেন্টার ছিলেন অনিল নিজেই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সমস্যা কাটছে শিল্পপতি অনিল আম্বানির। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ঋণ নিয়ে শোধ না করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অনাদায়ী ঋণ খতিয়ে দেখতে মাঠে নামল ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইব্যুনাল। অনিলের মালিকানাধীন দু’টি সংস্থা স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা লোন নিলেও তা ফেরত দেয়নি। এই দুটি সংস্থার থেকে নেওয়া লোনের গ্যারেন্টার ছিলেন অনিল নিজেই।

Advertisment

এটি কি অনিল আম্বানির বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত দেউলিয়ার ঘটনা?

এই কেসের তাৎপর্য হল এটি দেশের কোনও বড় ব্যবসায়িক গ্রুপের প্রধানের বিরুদ্ধে মামলাগুলির মধ্যে একটি।

২০১৫ সালে, অনিল আম্বানির রিলায়েন্স যোগাযোগ লিমিটেড (আরকম) এবং রিলায়েন্স ইনফ্রেটেল লিমিটেড (আরআইটিএল) এসবিআইয়ের প্রকল্প ফিনান্স স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং ৫৬৫ কোটি এবং ৬৩৫ কোটির দুটি ঋণ চায়। আর-কম এবং রিলায়্যান্স ইনফ্রাটেল লিমিটেডের হয়ে ঋণ নেওয়ার সময় অনিল অম্বানী নিজেকেই ব্যক্তিগত গ্যারান্টর হিসেবে দেখিয়েছিলেন। দুই সংস্থা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় গ্যারেন্টার হিসেবে অনিল আম্বানিকেই দায়ভার নিতে বলে এসবিআই।

কিন্তু অনিলের প্রায় সব সংস্থাই ঋণে জর্জরিত। ঋণের টাকা ফেরত দেওয়ার মতো অবস্থা না থাকায় তা মোরাটোরিয়ামে চলে যায়। এই পরিস্থিতিতে বকেয়া উদ্ধারের জন্য ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হয়েছিল দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। এই ট্রাইব্যুনালেই দেউলিয়া মামলার শুনানি হয়। প্রাথমিকভাবে ব্যক্তিগতভাবে ঋণ পরিশোধের নিয়ম না থাকলেও সেই নিয়ম পরিবর্তন হয় গত বছরের ডিসেম্বর মাসে।

ব্যক্তিগত দেউলিয়া ঘোষণার প্রক্রিয়াটি কী?

দেউলিয়া আইন একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় আইন। অনিলের মালিকানাধীন দু’টি সংস্থা দেউলিয়া হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার ‘ব্যাঙ্করাপসি অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’ নিয়োগ করেছে আদালত। এসবিআই এবার এর কাছে আম্বানির ব্যক্তিগত গ্যারান্টি হিসাবে প্রদত্ত সম্পদের একটি তালিকা পেশ করবে, যা ঋণ নেওয়ার সময়ে দেওয়া হয়েছিল। এই তালিকা দেওয়া হয় কারণ লোন পরিশোধ করতে অপারক হলে তখন ব্যাঙ্ক এই তালিকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে। লোনের অর্থের সমপরিমাণ মূল্য হতে হবে এই সকল সামগ্রীর মোট মূল্যকে। তবে, ইন্ডাসল' সংস্থার সৌরভ কুমার বলেন, "ব্যক্তিগত গ্যারান্টি দেওয়ার ক্ষেত্রে, ব্যাঙ্কগুলি কেবল ব্যক্তিগত সম্পত্তির উপর অধিকার দাবি করতে পারে। কেবলমাত্র সেই সম্পদগুলিইকেই তালিকাভুক্ত হয়। ব্যাঙ্ক তাঁর স্ত্রী বা সন্তানদের সম্পত্তির উপর অধিকার দাবি করতে পারে না।”

এই দেউলিয়া প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর অনিল আম্বানির কী হতে চলেছে?

ঋণদানকারীরা কেবলমাত্র সেই ব্যক্তির মালিকানাধীন বা ব্যক্তিগত সম্পদ থেকে তাদের পাওনা আদায় করতে পারবেন। তবে ঋণ অনুমোদনের সময় প্রদত্ত তালিকায় উল্লিখিত যে কোনও সম্পত্তি পরবর্তীতে অন্য কারও কাছে স্থানান্তরিত, সংযুক্ত কিংবা বিক্রয় করা যেতে পারে। সেখানে ব্যাঙ্কের কিছু করার থাকবে না। সে সব সংস্থা এই দেউলিয়ার সঙ্গে যুক্ত নয় সেগুলি বিনা বাধায় চালাতে পারবেন অনিল আম্বানি।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Reliance
Advertisment