সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবারই পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারিকে 'অবৈধ' বলে জানিয়ে দিয়েছিল। শুক্রবার সেই নির্দেশমতো ইসলামাবাদ হাইকোর্টও দুই সপ্তাহের জন্য ইমরানকে সমস্ত মামলায় জামিন দিয়েছে। কিন্তু, এতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক গন্ডগোল থামছে না। বরং, এই গন্ডগোল গত ২০ মাসের দ্বন্দ্বে নতুন লড়াইয়ের মঞ্চ প্রস্তুত করল। যা আইএসআই প্রধানের নিয়োগ নিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর টানাপোড়েনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল। সেই লড়াইটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে 'কাপ্তান' বনাম সেনাপ্রধানের।
'কাপ্তান' বনাম সেনাপ্রধান
পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেট অধিনায়ক কিন্তু, কখনও তাঁর যুদ্ধকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বলেননি। সেটা যেন একটা সতর্কতা বজায় রাখা। তবে ব্যক্তিগত ভাবে তিনি প্রাক্তন সেনাকর্তাকে তাঁর অপসারণের পিছনে অন্যতম দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন। সেই প্রাক্তন সেনাকর্তা হলেন পাকিস্তানের ভূতপূর্ব সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। তাঁর অপসারণের জন্য যাঁকে বাইডেন প্রশাসন এবং বিরোধী দলগুলির সঙ্গে একই মঞ্চে দাঁড় করিয়েছেন ইমরান।
ইমরানের সঙ্গে বিবাদ
পাশাপাশি ইমরান অভিযোগ করেছিলেন যে একজন আইএসআই অফিসার তাঁর ওপর গত বছর হত্যা প্রচেষ্টার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন। ইমরানের স্পষ্ট অভিযোগ ছিল প্রাক্তন আইএসআই কর্তা তথা পাকিস্তানের বর্তমান সেনাপ্রধান অসীম মুনিরের দিকে। এই মুনিরকেই ইমরান আইএসআই প্রধানের পদ থেকে অপসারণে বাধ্য করেছিলেন। তাতেই ইমরানের ওপর চটেছিলেন সেনাপ্রধান বাজওয়া। তার জেরে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি পর্যন্ত খোয়াতে হয়েছে ইমরানকে। কারণ, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অত্যন্ত প্রভাবশালী।
আরও পড়ুন- হাতের দখলে কর্ণাটক, কোন জোরে বিজেপির থেকে কুর্সি হাতাল কংগ্রেস?
মুনিরের সেনাপ্রধান হওয়া
যে পরিস্থিতিতে মুনিরকে পাকিস্তান সেনার প্রধান করা হয়েছিল, তাতে এই ধারণা আরও দৃঢ় হয়েছিল যে তিনি ইমরানবিরোধী বলেই তাঁকে নির্বাচিত করা হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল হিসাবে মুনিরের মেয়াদ বাজওয়ার অবসরের দুই দিন আগে ২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, দেখা গিয়েছে মুনিরকে চাকরিতে বহাল রাখতে বিধিমালা পর্যন্ত সংশোধন করেছে ইমরানের পরবর্তীতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেহবাজ শরিফের সরকার।