তথ্যচিত্র, 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন' প্রকাশের পর থেকেই বিবিসিকে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। বিবিসির তথ্যচিত্রের তীব্র নিন্দা করেছে মোদী সরকার। এই তথ্যচিত্রকে 'প্রচারের অংশ' তকমা দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, 'ঔপনিবেশিক মানসিকতা' থেকে বিবিসি এই তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে। গত সপ্তাহে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এই তথ্যচিত্র ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। সুনাক বলেছেন, তথ্যচিত্রে মোদীকে যেভাবে দেখানো হয়েছে, তিনি সেরকম নন বলেই তাঁর বিশ্বাস।
কীভাবে বিবিসি তৈরি হয়েছে?
১৯২২ সালের ১৮ অক্টোবর বিবিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আগে এটা এক বেসরকারি সংস্থা ছিল। সেই সময় বিবিসির নাম ছিল, ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কোম্পানি। সেখানে কেবল বিভিন্ন ব্রিটিশ উৎপাদন সংস্থার মালিকরাই শেয়ার পেতেন। প্রথমদফায় প্রতিষ্ঠার জন্য বিবিসিকে অত্যন্ত পরিশ্রম করতে হয়েছে। কিন্তু, এর কপাল ১৯২৬ সালের সাধারণ ধর্মঘটের সময় খুলে যায়। সেই সাধারণ ধর্মঘটের খবর বিবিসি যেভাবে পরিবেশন করে, তা আপামর ব্রিটিশ জনগণের তারিফ কুড়োয়। আর, তা থেকেই বৃদ্ধি পায় বিবিসির জীবনরেখা।
সেই বছরেরই পরের দিকে, ব্রিটেনের সংসদীয় কমিটি বিবিসিকে সরকারি সংস্থায় পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিবিসির নতুন নাম ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন। কাজে স্বাধীনতা থাকলেও সরকারি সংস্থা হওয়ায় বিবিসি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে জবাবদিহির জন্য বাধ্য।
আরও পড়ুন- ‘সামনে পেয়েছি চিঠি ধরিয়েছি’, অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিশ্বভারতীর উপাচার্য
কীভাবে বিবিসির কাজকর্ম চলে?
আজ অবধি, বিবিসি রাজকীয় সনদের ভিত্তিতেই কাজ করছে। ক্ষমতাসীন রাজাই বিবিসিকে কাজের অনুমতি দেয়। এই অনুমতি ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মারফত বিবিসিকে নিতে হয়। প্রতি ১০ বছর অন্তর এই অনুমতি পুনর্নবীকরণ করতে হয়। বর্তমানে বিবিসির কাছে ২০২৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাজ চালানোর অনুমতি আছে।
বিবিসিকে যে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা আছে, 'এই সংস্থাকে ব্রিটেনের সমস্ত এলাকা এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের জনগণের মধ্যে বোঝাপড়া তৈরির জন্য যথাযথ, সঠিক এবং নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। বর্তমান ঘটনা এবং বাস্তবোচিত অনুষ্ঠান পরিবেশন করতে হবে।'
Read full story in English