ভারতে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বা বিবিসির যাত্রাশুরু ১৯৩২ সালে। সেই সময় এই সংস্থা ছিল সাম্রাজ্যবাদের প্রচারকারী। একটি বিদেশি সংস্থা। এই সব পরিচয়েই পরিচিত ছিল। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর, বিবিসি (বর্তমানে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন) একটি স্বাধীন বিদেশি সম্প্রচারকারী সংস্থা হিসেবে নিজেকে মেলে ধরে।
কিন্তু, তারপরও তার চলার পথে দু'বার বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার জেরে বিবিসিকে ভারতে তার সম্প্রচার সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হলেও বন্ধ করতে হয়েছিল। এর মধ্যে একবার ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে তারা নিজেদের সম্প্রচার বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। আর, একবার বাধ্য হয়েছিল ১৯৭৫ সালে জরুরি অবস্থার সময়। তখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সরকার বিবিসিকে সম্প্রচারে বাধা দিয়েছিল।
আবার, ২০১৭ সালে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার, 'ভারতের সুনামের অপূরণীয় ক্ষতির জন্য' ভারতীয় জাতীয় উদ্যান ও বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যে বিবিসিকে ছবি তুলতে নিষেধ করেছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা বিবিসির তথ্যচিত্র এবং সংবাদ প্রতিবেদনের জন্য চিত্রগ্রহণের ওপর লাগু ছিল।
তার মধ্যেই ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথরিটি বিবিসিকে 'অতি ভ্রান্ত' প্রতিবেদনের জন্য সমালোচনা করেছিল। তারই সঙ্গে, অসমের কাজিরাঙা বাঘ সংরক্ষণের কথা মাথায় রেখে সরকারের 'নিষ্ঠুর শিকার বিরোধী কৌশল' তুলে ধরা এক তথ্যচিত্রের জন্য বিবিসির দক্ষিণ এশিয়ার সংবাদদাতা জাস্টিন রাওলাটকে কালো তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করেছিল।
আরও পড়ুন- ‘জীবনটাই অনলাইন করে দিতে চাইছে!’, তোপ মমতার
এরপর, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা সম্পর্কে বলা দুটি তথ্যচিত্র প্রচারের পরে ভারত সরকারের সঙ্গে ফের বিবিসির টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। আর, তার জেরে মঙ্গলবার আয়কর কর্তৃপক্ষ বিবিসি ইন্ডিয়ার অফিসে অভিযান চালায়।
১৯৩২ সালে একটি ইংরেজি ভাষার রেডিও পরিষেবা দিয়ে শুরু হওয়া বিবিসি এই দেশে তার অস্তিত্বের কয়েক দশক ধরে একটি পূর্ণাঙ্গ সংবাদ সম্প্রচারকারী হিসেবে নিজেদের তুলে ধরেছে। যা শুধুমাত্র ইংরেজি এবং হিন্দিতেই নয়, বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষাতেও সংবাদ পরিবেশন করছে। বাংলা, নেপালি, তামিল, গুজরাটি, মারাঠি, পাঞ্জাবি এবং তেলেগুতে তার সংবাদ পরিবেশন চলছে।
Read full story in English