Tejas Accident: বরাতজোরে নয়! বিমান ধ্বংস হলেও অত্যাধুনিক কারিগরি দক্ষতায় বাঁচলেন তেজসের পাইলট, কীভাবে?
Ejection seats in military aircraft: এতদিন যাঁরা বিমান থেকে ইজেকশন সিটের সাহায্যে বাইরে এসেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও আঘাত পেয়েছেন। তার মধ্যে অন্তত ৩০ শতাংশের আঘাত মেরুদণ্ডে লেগেছে। এই আঘাত লাগার কারণ, যাত্রীকে নিয়ে সিট আকাশে উড়ে যাওয়ার সময় যাত্রীর নীচের অংশে জোরে ধাক্কা লাগে।
Aero India 2023 air show-Yelahanka air base-Bengaluru: ভারতের বেঙ্গালুরুতে ইয়েলাহাঙ্কা বিমান ঘাঁটিতে, 'অ্যারো ইন্ডিয়া ২০২৩' এয়ার শো চলাকালীন একটি দৃশ্য। (REUTERS/স্যামুয়েল রাজকুমার/ফাইল ফটো)
Ejection seats in military Tejas aircraft: দেশীয় হালকা যুদ্ধবিমান (এলসিএ) তেজস মঙ্গলবার একটি নিয়মিত প্রশিক্ষণের সময় রাজস্থানের জয়সলমের জেলায় ভেঙে পড়েছে। এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। তেজসের ২৩ বছরের ইতিহাসে এটাই প্রথম দুর্ঘটনা। তবে, তা মারাত্মক ক্ষতিকারণ হয়নি। পাইলট নিরাপদে বিমান থেকে বেরিয়ে এসেছেন। এটা সম্ভব হয়েছে ইজেকশন সিটের জন্য। বেশিরভাগ সামরিক বিমান, বিশেষ করে যুদ্ধবিমানগুলোয় ইজেকশন সিট থাকে। বিমানে থাকা সরঞ্জামগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জটিল অংশের অন্যতম এই ইজেকশন সিট। যা, জরুরি পরিস্থিতিতে পাইলটদের পালাতে সাহায্য করে।
Advertisment
সিট-সহ যাত্রী আকাশে উড়ে যায় ইজেকশন হ্যান্ডেলটি ৪-৫ সেকেন্ড টেনে রাখতে হয়। এর ফলে, বিমান থেকে বেরিয়ে আসা যাত্রী ধ্বংসের মুখে পড়া বিমান থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যান। আর, যাত্রী প্যারাসুটের সাহায্যে একটি নিয়ন্ত্রিত গতিতে নেমে আসেন। এজন্য, প্রথমত সিটের নিচে একটি ছোট বিস্ফোরক চার্জ দিয়ে সক্রিয় করা হয়। যা সিট-সহ যাত্রীকে বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে যায়। যাইহোক, সিট-সহ যাত্রী বিমান থেকে পালানোর সময়, সিটের ওপরের ছাউনিটি অবশ্যই সরানো দরকার। নতুবা, বের হওয়া যাত্রীর ঘাড় দু'টুকরো হয়ে যাবে। যেমনটা 'টপ গান' সিনেমায় (১৯৮৬) গুজ-এর হয়েছিল। ইজেকশন সিটের ক্ষেত্রে রকেট থ্রাস্টার বা কমমাত্রার বিস্ফোরক ব্যবহার হয়। যা সিট-সহ গোটা কাঠামোকে দূরে ঠেলে দেয়। একবারে খোলা অবস্থায়, সিট-সহ যাত্রীকে নিয়ে সিটের নীচে থাকা রকেট বুস্টারগুলো উড়তে শুরু করে। যা বিমান এবং তা থেকে বেরিয়ে আসা সিট-সহ যাত্রীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে।
বিমান থেকে বের হওয়ার বিভিন্ন পর্যায়।
Advertisment
চোট-আঘাত লাগে এতদিন যাঁরা বিমান থেকে ইজেকশন সিটের সাহায্যে বাইরে এসেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনও আঘাত পেয়েছেন। তার মধ্যে অন্তত ৩০ শতাংশের আঘাত মেরুদণ্ডে লেগেছে। এই আঘাত লাগার কারণ, যাত্রীকে নিয়ে সিট আকাশে উড়ে যাওয়ার সময় যাত্রীর নীচের অংশে জোরে ধাক্কা লাগে। যদিও এই আঘাতটা খুব অল্প সময়ের জন্য লাগে। কিন্তু, তাতে যাত্রীর হাড় ভেঙে যেতে পারে। কোনও অস্থি ছিঁড়ে যেতে পারে। মেরুদণ্ড আঘাতে সংকুচিত হয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি, পাইলটদেরও নিশ্চিত করতে হবে যে বিমান থেকে বের হওয়ার সময় তাঁরা যেন পা না ছড়িয়ে বসেন। কারণ, আকাশে উড়ে যাওয়ার সময় কোনও কিছুর সঙ্গে পা জুড়ে থাকলে পা ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারে। সেই কারণে পাইলটরা বিমান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কঠোরভাবে প্রস্তুতি নেন। এই সব প্রস্তুতির পর্যায়গুলো প্রশিক্ষণের সময়ই পাইলটদের শেখানো হয়। বুঝিয়ে দেওয়া হয়, তাঁদের ফিটনেসকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখতে হবে।