Advertisment

শুধু মমতা নন, আইপিএস অফিসারদের কেন্দ্রে পাঠাতে অস্বীকার করেছিলেন জয়ললিতাও

পশ্চিমবঙ্গে, কেন্দ্র কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনটির জন্য যে অফিসারদের সন্ধান করেছে তারা হলেন- রাজীব মিশ্র (অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল, দক্ষিণ বঙ্গ), প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং ভোলানাথ পান্ডে (এসপি, ডায়মন্ড হারবার)।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনার পর রাজ্যের তিন আইপিএস অফিসারকে সেন্ট্রাল ডেপুটেশনে তলব করে কেন্দ্র। যদিও অফিসারদের পাঠাতে অস্বীকার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ভারতের রাজনীতির ইতিহাস বলছে কেবল মমতাই নন, জয়ললিতাও এমন প্রত্যাখ্যান জানিয়েছিলেন কেন্দ্রকে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সুরক্ষা দায়িত্বে ছিলেন তিন আইপিএস অফিসার। কিন্তু তা সত্ত্বেও কীভাবে এই হামলা হল সেই বিষয়টি জানতেই তলব করে কেন্দ্র।

Advertisment

এবার একটি দক্ষিণী রাজনীতি দেখা যাক। ২০০১-এর ১৩ মে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীপদে শপথ গ্রহণ করছিলেন জয়ললিতা। ২৯-৩০ জুন রাতে তামিলনাড়ু পুলিশের সিবি-সিআইডি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এম করুণানিধির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে তার ডিএমকে সহকর্মী মুরসোলি মারান এবং টিআর-সহ গ্রেফতার করে। সেই সময় কেন্দ্রে বাজপেয়ী সরকার। তৎকালীন চেন্নাইয়ের পুলিশ কমিশনার কে মুথুকারুপ্পান, যুগ্ম কমিশনার সেবাস্তিয়ান জর্জ এবং জেলা প্রশাসক ক্রিস্টোফার নেলসনকে তলব করা হয়। যারা জয়ললিতার ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত ছিল।

পশ্চিমবঙ্গে, কেন্দ্র কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনটির জন্য যে অফিসারদের সন্ধান করেছে তারা হলেন- রাজীব মিশ্র (অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল, দক্ষিণ বঙ্গ), প্রবীণ ত্রিপাঠি এবং ভোলানাথ পান্ডে (এসপি, ডায়মন্ড হারবার)। ২০০১ সালে তত্কালীন লাল কৃষ্ণ আদবানির নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক তামিলনাড়ু সরকারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনের জন্য ওই তিন অফিসারদের সেন্ট্রাল ডেপুটেশনের জন্য দেকে পাঠান। অরুণ জেটলি জানিয়েছিলেন, আইপিএস অফিসারদের বদলির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের “ওভার্রাইডিং পাওয়ার” রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জয়লতিতাও অফিসারদের পাঠাতে অস্বীকার করেন। সেই সময় অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠিও লেখেন আম্মা। মমতা যেমন কেন্দ্রের দাবি অস্বীকার করার সময় তিনি বলেছিলেন, রাজ্যে ভাল আধিকারিকদের অভাব রয়েছে।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Mamata Banerjee Jayalalithaa
Advertisment