Advertisment

পাসওয়ান-নীতীশদের মাঝে দড়ির ওপর হাঁটছে বিজেপি

এনডিএ জোট অক্ষুণ্ণ রয়েছে, এ কথা বলার কারণে এলজেপি তাদের মুঙ্গেরের প্রেসিডেন্ট রাঘবেন্দ্র যাদবকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Bihar NDA Fiasco

অমিত শাহের সঙ্গে নীতীশ কুমার, রামবিলাস পাসওয়ান, চিরাগ পাসওয়ান (আর্কাইভ ছবি)

বিহারে বিধানসভা ভোটের চার মাস বাকি। এই সময়েই ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের তিন সঙ্গীর মধ্যে দু দল, জেডি (ইউ) ও এলজেপি-র মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছে, যার ফলে তৃতীয় পক্ষ বিজেপিকে ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা যখন শুরু হওয়ার কথা সে সময়ে জেডিইউ ইঙ্গিত দিয়েছে তারা বিহার বিধান পরিষদের মনোনয়ন কোটার ১২ টি আসনের একটিও ছাড়তে রাজি নয়। এই আসনগুলি দ্রুত পূরণ করার সময় এসেছে।

Advertisment

লোক জনশক্তি পার্টির সঙ্গে জেডিইউয়ের সাম্প্রতিক সমস্যার কারণ রয়েছে।

বিহার ফার্সট, বিহারি ফার্সট স্লোগানের শুরু থেকে লোকজনশক্তি পার্টির প্রেসিডেন্ট চিরাগ পাসওয়ান আইন শৃঙ্খলা নিয়ে নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করেছেন।

এনডিএ জোট অক্ষুণ্ণ রয়েছে, এ কথা বলার কারণে এলজেপি তাদের মুঙ্গেরের প্রেসিডেন্ট রাঘবেন্দ্র যাদবকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়। দলের স্পষ্ট বার্তা এসব ব্যাপারে কথা বলার অধিকার কেবল দলের সভাপতি চিরাগ পাসওয়ান ছাড়া আর কারও নেই।

উসকানি এসেছে চিরাগের বাবা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের দিক থেকেও। বিহার সরকার কেন্দ্রের কাছ থেকে পুরো রেশন সংগ্রহ করেনি বলে নীতীশকে উত্যক্ত করেছেন তিনি।

নীতীশ কুমার এবারে ভোটে প্রচারে নিয়ে আসছেন বিকাশবাদ বনাম লালুবাদ, ১৪ বছরের এনডিএ বনাম ১৫ বছরের আরজেডি এবং এলইডি বনাম লন্ঠন জাতীয় স্লোগানকে। এ সময়ে নীতীশের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে চিরাগের প্রশ্ন তোলা নীতীশকে আরও বিব্রত করেছে।

জেডিইউ বলছে চিরাগের কথা তাঁর দলের বহু নেতারাই শোনেন না। রাজ্যসভার মনোনয়ন ব্যবহার করে জেডিইউ চিরাগকে বার্তা দিতে চায়। পশুপতি কুমার পরস হাজিপুরের সাংসদ হয়ে যাওয়ার পর নীতীশ সরকারে এলজেপি-র কোনও প্রতিনিধি নেই।

জেডিইউ বিজেপিকে বলেছে তারা বিধান পরিষদে সমসংখ্যক আসনভাগ পেতে পারে, তবে শর্ত হল তার থেকে এলজেপি-কে দেওয়া চলনবে না।  কারণেই বিজেপি কিছুটা বাঁধা পড়ে গিয়েছে।

এনডিএ-র মধ্যে এলজেপির গলার ফাঁস আটকাতে চায় জেডিইউ, অন্যদিকে বিজেপি চায় আসন ভাগাভাগিতে এলজেপি-রও মত থাকুক। এলজেপি যত বেশি সংখ্যক আসন পাবে জেডিইউয়ের আসন ২০১০ সালে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ১৪১ আসন সংখ্যা থেকে তত কমবে। সে সমেয় পাসওয়ানরা এনডিএ-তে ছিলেন না।

এখন পরিস্থিতি বদলেছে। গত বছর লোকসভায় ৬টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৬টিতেই জিতেছে এলজেপি। এবার বিধানসভায় তারা ৩৫টির বেশি আসন চাইতে পারে। অন্যদিকে জেডিইউ চাইবে যত বেশি সংখ্যক আসনে লড়া যায়, তাহলে তারা ম্যাজিক সংখ্যা ১২২-এর বেশি কাছে থাকতে পারবেন। বিজেপির সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলেও নীতীশ চাইবেন তাঁর বিধায়কের সংখ্যা যাতে ৩০-৩৫-এর মধ্যে থাকে যাতে ভেসে থাকা যায়।

বিজেপি এ কথা বিলক্ষণ জানে এবং তারা বিধান পরিষদের আসন থেকে এলজেপিকে বঞ্চিত করতে চায় না বা জেডিইউ-কে বিড়ম্বিত করতে চায় না। ইতিমধ্যে চিরাগ পাসওয়ান ফের বলেছেন ১৪ লক্ষ বিহারিকে নতুন রেশন কার্ড দেওয়া নরেন্দ্র মোদী তাঁর নেতা এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা রাম বিলাস পাসওয়ান টুইট করে মোদীর উদ্দেশে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। এ পরিস্থিতিতে বিজেপি এখন দড়ির উপর দিয়ে হাঁটছে।

bjp bihar NDA
Advertisment