Advertisment

Bilkis Bano: বিলকিস বানো মামলায় ফের কারাগারের পিছনে ধর্ষকরা, কেন সুপ্রিম কোর্টের এই বোধোদয়?

Bilkis Bano & Supreme court: এই ব্যাপারে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিভি নাগারথনা ও উজ্জল ভুঁইয়ার বেঞ্চ (A Bench of Justices B V Nagarathna and Ujjal Bhuyan) গুজরাত সরকারের ১০ আগস্টের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, ২০২২ সালে দোষীদের সাজা মকুবের সিদ্ধান্ত ছিল 'অবৈধ'। আদালত রায় দিয়েছে যে, গুজরাত সরকারের সাজা মকুবের আবেদন গ্রহণ করার বা সাজা মকুব করার নির্দেশ দেওয়ার কোনও এক্তিয়ারই নেই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Bilkis Bano Supreme Court

বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলার ১১ অভিযুক্ত রবিবার গভীর রাতে গুজরাটের পঞ্চমহল জেলার গোধরা জেলে আত্মসমর্পণ করেছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত সময়সীমা অনুসরণ করে সকলেই তারা আত্মসমর্পণ করেন।

বিলকিস বানো (২০০২ সালে) গণধর্ষণ (বিলকিস ইয়াকুব রসুল বানো বনাম ভারত সরকার ‘Bilkis Yakub Rasool vs Union of India’) মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১১ জনের দ্রুত মুক্তির অনুমতি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই ব্যাপারে গুজরাত সরকারের সাজা মকুবের নির্দেশও বাতিল করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সোমবার (৮ জানুয়ারি) এই ব্যাপারে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিভি নাগারথনা ও উজ্জল ভুঁইয়ার বেঞ্চ (A Bench of Justices B V Nagarathna and Ujjal Bhuyan) গুজরাত সরকারের ১০ আগস্টের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, ২০২২ সালে দোষীদের সাজা মকুবের সিদ্ধান্ত ছিল 'অবৈধ'। আদালত রায় দিয়েছে যে, গুজরাত সরকারের সাজা মকুবের আবেদন গ্রহণ করার বা সাজা মকুব করার নির্দেশ দেওয়ার কোনও এক্তিয়ারই নেই। কারণ, অপরাধ গুজরাতে হলেও সাজা ঘোষণা হয়েছিল মহারাষ্ট্রে। সেখানে এই মামলার বিচার চলেছিল। তাই, সাজা কেউ মকুব করতে চাইলে, এই ব্যাপারে মহারাষ্ট্র সরকারই উপযুক্ত।

Advertisment

একনজরে:-

  • গুজরাতে ২০০২ সালে বিলকিস বানো গণধর্ষণের শিকার হন।
  • ২০২২ সালে সাজা মকুবের সিদ্ধান্ত নেয় শীর্ষ আদালত।
  • সোমবার (৮ জানুয়ারি, ২০২৪) গুজরাত সরকারের সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

Bilkis Bano and Supreme court: যে বিষয়গুলোতে আদালতের নজর

এক্ষেত্রে আদালত যে বিষয়গুলোর ভিত্তিতে রায় দিল, তা হল- ১) মামলার ভুক্তভোগীদের একজনের দায়ের করা আবেদনটি সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদের অধীনে গ্রহণযোগ্য কি না। ২) ২০২২ সালের ১০ আগস্ট, সাজা মকুবের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানানো জনস্বার্থ মামলা গ্রহণযোগ্য কি না। ৩) গুজরাত সরকার আদৌ সাজা মকুবের সিদ্ধান্ত নিতে পারে কি না। ৪) সাজা মকুব হওয়ার পর দোষীদের কারাগারে ফেরত পাঠানো যায় কি না।

আরও পড়ুন- বিলকিস মামলায় সাজা মকুবের নির্দেশ বাতিল করল সুপ্রিম কোর্ট, কী বলল আদালত?

আদালত মনে করেছে

(১) মহারাষ্ট্র সরকার সাজা মকুবের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী। কিন্তু, সেটা গুজরাত সরকার নিয়েছে। (২) ১৯৯২ সালের ৯ জুলাই গৃহীত গুজরাত সরকারর সাজা মকুবের নীতি ১১ জন দোষীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। (৩) সাজা মকুবের ক্ষেত্রে গুজরাত সরকার যেখানে দোষীদের বিচার হয়েছিল, মুম্বইয়ের সেই বিশেষ আদালতের প্রধান বিচারপতির মতামত গ্রাহ্য করেনি। কারণ, বিশেষ সিবিআই আদালত ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি, মুক্তির বিরুদ্ধেই মত দিয়েছিল। (৪) আদালতের ধার্য করা জরিমানা সাজাপ্রাপ্তরা মেটাননি। সাজা মকুবের সময় গুজরাতের দাহোদের জেল উপদেষ্টা কমিটি, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখেনি।

Bilkis Bano gujrat Supreme Court of India Jail Maharashtra CBI Court
Advertisment