BJP’s compulsions: অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ ক্যাটাগরি রাজ্যের মর্যাদা চাইলেন চন্দ্রবাবু নাইডু। বর্তমানে কেন্দ্রে সরকার গড়তে নাইডুকে বিজেপির দরকার। কারণ, বিজেপির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। পেয়েছে ২৪০ আসন। পাশাপাশি, অন্ধ্রপ্রদেশেও নাইডুর দলের সঙ্গে জোট গড়েই ক্ষমতায় বসতে চলেছে বিজেপি। আর, সেই সুযোগটাই নিয়েছেন তেলুগু দেশম পার্টির সুপ্রিমো। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ ক্যাটাগরির রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
নতুন করে শপথগ্রহণ
বুধবারই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিয়ম অনুযায়ী এই পদত্যাগপত্র পেশ করতে হয়। সেই সময়ই রাষ্ট্রপতি নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। এই রীতি বরাবরই নতুন সরকার গঠনের সময় পালন করা হয়, এবারও হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, নরেন্দ্র মোদী ৯ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফের শপথগ্রহণ করবেন। তবে, এবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় শরিকদের ওপর তাঁকে বেশি করে নির্ভর করতে হবে।
বিশেষ মর্যাদার দাবি নতুন নয়
অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা চন্দ্রবাবু নাইডু নতুন চাইছেন না। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল, মোদী সরকারের প্রথম দফায় তিনি বারবার বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা (SCS) চেয়ে কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু, ২০১৯ সালের নির্বাচনে চন্দ্রবাবু হেরে যান। ফের তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষমতায় বসতে চলেছেন। সেই কারণে, যথারীতি পুরোনো দাবি নতুন করে তুলেছেন। বুধবারই (৫ জুন), নরেন্দ্র মোদীর দিল্লির বাসভবনে টিডিপির সঙ্গে বিজেপির বৈঠক হয়েছে। সেখানেই চন্দ্রবাবু প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর রাজ্যের জন্য বিশেষ মর্যাদার দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- খাসতালুকেই চুরমার গেরুয়া শিবির! কারণগুলো উঠে আসছে একে একে
স্পেশাল ক্যাটাগরি স্ট্যাটাস (এসসিএস) কী?
১৯৬৯ সালে, ভারতের পঞ্চম অর্থ কমিশন নির্দিষ্ট কিছু রাজ্যকে তাদের উন্নয়ন এবং দ্রুত বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য এসসিএস (SCS) প্রক্রিয়া চালু করেছিল। রাজ্যগুলোর ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক এবং ভৌগলিক সমস্যা দূর করতে এই মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পার্বত্য অঞ্চল, কম জনসংখ্যার অঞ্চল, বড় উপজাতি এলাকা, সীমান্ত এলাকায় অর্থনৈতিক এবং পরিকাঠামো উন্নয়নে এই মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে, ১৪তম অর্থ কমিশনের সুপারিশে এই ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। ১৪তম অর্থ কমিশন প্রস্তাব দিয়েছিল, রাজ্যগুলির সম্পদের অভাব মেটাতে বেশি করে রাজস্ব সেই সব রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়া হোক। সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের সীমান্তবর্তী পার্বত্য রাজ্য-সহ ১১টি রাজ্যকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা (এসসিএস)-এর স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে, চন্দ্রবাবু নাইডুর অন্ধ্রপ্রদেশ (এপি), নীতীশ কুমারের বিহার, ওড়িশাও একই দাবি জানিয়েছিল।