Blue Corner notice will mean for Prajwal Revanna: সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) জনতা দল (ধর্মনিরপেক্ষ) পার্টির সাংসদ পলাতক প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিশ জারি করতে পারে। দলীয় কর্মী এবং অন্যান্য নারীদের ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগে প্রজ্বলের বিরুদ্ধে প্রায় ৩,০০০ ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তারপরই ২৮ এপ্রিল প্রজ্বল কূটনৈতিক পাসপোর্টে জার্মানি পালিয়ে যান। তাই এবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্বলকে ধরতে ফাঁদ পাতছে সিবিআই। বিদেশ থেকে প্রজ্বলকে টেনে আনতে চেষ্টা শুরু হয়েছে।
ইন্টারপোলের রঙিন নোটিশ
একটি ব্লু কর্নার নোটিশ ইন্টারপোলের রঙিন নোটিশ ব্যবস্থার অংশ। তদন্তকারী সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, এই নোটিশ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশকে পলাতক ব্যক্তি অথবা অপরাধে অভিযুক্তদের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সতর্ক করে। আন্তর্জাতিকভাবে ছড়িয়ে থাকা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড মোকাবিলায় অপরাধ সংক্রান্ত এই তথ্যের আদান-প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মোট সাত ধরনের নোটিশ রয়েছে- রেডকর্নার নোটিশ, ইয়েলো নোটিস, ব্লু নোটিস, ব্ল্যাক নোটিস, গ্রিন নোটিস, অরেঞ্জ নোটিস এবং পার্পল নোটিস। প্রতিটির আলাদা তাৎপর্য আছে।
রেড কর্নার নোটিশ: বিচারের জন্য বা সাজা দেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের হাতে পেতে এবং গ্রেফতারের জন্য এই নোটিস দেওয়া হয়।
ব্লু কর্নার নোটিশ: অপরাধের তদন্তের জন্য একজন ব্যক্তির পরিচয়, অবস্থান বা কার্যকলাপ সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য সংগ্রহ করতে এই নোটিশ জারি করা হয়।
ব্ল্যাক কর্নার নোটিশ: অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহের ব্যাপারে জানতে এই নোটিশ দেওয়া হয়।
গ্রিন কর্নার নোটিশ: একজন ব্যক্তির অপরাধমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে সতর্ক করতে এই নোটিশ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তিকে জননিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অরেঞ্জ কর্নার নোটিশ: এই নোটিশ জারি করে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য আসন্ন গুরুতর হুমকির ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।
পার্পল কর্নার নোটিশ: এই নোটিশ জারি করে অপরাধীদের মোডাস অপারেন্ডি, গোপন করার পদ্ধতি, ডিভাইস বা কোনও ক্ষতিকারক বস্তুর ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়। অথবা, তথ্য দিয়ে সতর্ক করা হয়।
আরও পড়ুন- বিনা ভিসায় জার্মানিতে পালিয়েছেন রেভান্না, বলছে বিদেশ মন্ত্রক! আদৌ কী এটা সম্ভব?
কারা কখন এই নোটিশ জারি করে
কোনও সদস্য দেশের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনুরোধে ইন্টারপোলের জেনারেল সেক্রেটারিয়েট এই নোটিশ জারি করে। নোটিশটি সদস্য সব দেশগুলোই পায়। আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল নামে পরিচিত। এই সংস্থা বিশ্বব্যাপী অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফ্রান্সের লিয়নে এই সংস্থার সদর দফতর। আর, সেই আন্তর্জাতিক তদন্তকারী সংস্থার সাহায্য নিয়েই প্রজ্বল রেভান্নাকে হাতে পেতে চাইছে সিবিআই।