Advertisment

AstraZeneca-র বুস্টার ডোজে কাবু হবে ওমিক্রন! কী উঠে এল গবেষণায়?

আশার খবর শোনাল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অ্যাস্ট্রেজেনেকার বুস্টার ডোজ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।

ওমিক্রন আতঙ্কে যখন গোটা দুনিয়া ত্রস্ত, তখনই আশার খবর শোনাল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের গবেষণায় উঠে এসেছে, অ্যাস্ট্রেজেনেকার বুস্টার ডোজ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ডেল্টার থেকেও তিনগুণ বেশি সংক্রামক এই করোনার প্রজাতির থেকে কিছুটা সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

Advertisment

দ্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা, যা ভারতে কোভিশিল্ড নামে তৈরি হয় এবং ভ্যাক্সজেভরিয়া যা দক্ষিণ কোরিয়ায় উপলব্ধ, দুটোই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগার জাত। ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই বিভিন্ন গবেষকরা পরীক্ষা করে এই ফল পেয়েছেন।

কী পাওয়া গেল গবেষণায়

গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে, ট্রায়ালের সময় তৃতীয় ডোজ নেওয়ার এক মাস পর ওমিক্রনের প্রভাব অনেকটা কমিয়ে দিতে পারছে। তুলনায় ডেল্টার প্রতিরোধে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার এক মাস পর সেই ফল পাওয়া যায়নি। তার মানে ওমিক্রনকে কাবু করা যেতে পারে। একইসঙ্গে রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি তৃতীয় ডোজ নেওয়ার পর অনেকটাই বেড়ে যায় শরীরে। তাঁদের ক্ষেত্রেও যাঁরা এর আগে অন্য ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিলেন ডেল্টা-সহ।

অন্য টিকা যেমন মডার্না বা ফাইজারের পরীক্ষাতেও দেখা গিয়েছে, তৃতীয় ডোজ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কিছুটা সুরক্ষা তৈরি করতে পারছে। এবং ডেল্টার থেকে ওমিক্রনের প্রভাব অনেকটা কমিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। কোভিশিল্ডের ডোজ এই মূহূর্তে দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ নিয়েছেন। তবে এটা বুস্টার ডোজের জন্য আদর্শ নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বরং তাঁদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বুস্টার ডোজের ক্ষেত্রে প্রথম টিকার থেকে আলাদা টিকার ডোজে বেশি কাজ দেয়। দিন দুয়েক আগে অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছিল, ওমিক্রন-বিরোধী টিকা তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

আরও পড়ুন ওমিক্রন আতঙ্কে রাজ্যগুলিকে একাধিক গাইডলাইন কেন্দ্রের, কী কী জেনে নিন

শিশুদের টিকাকরণ

ওমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধির মধ্যেই ইউরোপের একাধিক দেশ ১২ বছরের নিচে শিশুদের টিকাকরণ শুরু করেছে। বিশ্বের অধিকাংশ জায়গায় এখনও পর্যন্ত ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ হয়েছে। এর কারণ হল, কমবয়সীদের মধ্যে সংক্রমণের প্রভাব কম দেখা গিয়েছে। কিছু দেশ ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু করেছে।

কিন্তু টিকা না নেওয়া মানুষদের, বিশেষ করে কমবয়সীদের মধ্যে ওমিক্রনের বেশি প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফ্রান্সে সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৬-১০ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতালিতেও একই জিনিস লক্ষ্য করা গেছে। সেখানে স্কুল পড়ুয়া শিশু এবং কিশোরদের মধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Booster Dose Astrazeneca Explained
Advertisment