কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনের আগে, চান্নাগিরির বিজেপি বিধায়ক মাদল বিরূপাক্ষপ্পার বাসভবন এবং অফিস থেকে ৮ কোটি টাকারও বেশি বেহিসাবি নগদ বাজেয়াপ্ত করেছেন লোকায়ুক্ত। মাদল বিরূপাক্ষপ্পা সরকারি অধীনস্থ সংস্থা বা পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং (পিএসইউ) কর্ণাটক সোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্ট লিমিটেড (কেএসঅ্যান্ডডিএল)-এর চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্বে ছিলেন। এই বিপুল অর্থ উদ্ধারের পর থেকেই অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক পলাতক।
কীভাবে পড়ল ধরা
পলাতক বিধায়ক এবং তাঁর ছেলে, প্রশান্ত মাদল, বেঙ্গালুরু জল সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন বোর্ডের (বিডব্লিউএসএসবি) আর্থিক উপদেষ্টা-সহ আরও পাঁচজন এখন ৭ (এ) (বি) (সরকারি কর্মচারীর ঘুষ নেওয়া প্রতিরোধে আইন) ধারার অধীনে অভিযুক্ত। প্রশান্ত তাঁর বাবার অফিসে ৪১ লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা পড়েন। তার পরেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। আর, তাতেই বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হয়েছে।
বোম্মাইয়ের কথা
এই পর্বের পরে, মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই বলেছেন, 'বর্তমান সরকার দুর্নীতি ঠেকাতে লোকায়ুক্তকে (দুর্নীতি দমন ব্যুরো পূর্ববর্তী কংগ্রেস শাসনকালে এই জাতীয় মামলাগুলো দেখছিল) পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে। কংগ্রেসের শাসনকালে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার অনুপস্থিতিতে বিভিন্ন ঘটনা ধামাচাপা পড়েছিল।' বোম্মাই আরও বলেছেন, 'লোকাযুক্ত একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। যে বা যারা অপরাধ করেছে, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।'
আরও পড়ুন- ‘টুকরে টুকরে গ্যাং’! ‘বিপন্ন গণতন্ত্র’ প্রশ্নে রাহুলকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী
লোকায়ুক্ত কি?
লোকায়ুক্তরা কেন্দ্রীয় লোকপালের সমকক্ষ। লোকপাল এবং লোকায়ুক্ত আইন, ২০১৩-এর ধারা ৬৩ অনুযায়ী, 'প্রতিটি রাজ্য একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করবে। যা রাজ্যের জন্য লোকায়ুক্ত হিসেবে পরিচিত হবে। যদি তা প্রতিষ্ঠিত না-হয়, অথবা গঠন করা না-হয় বা নিযুক্ত না-করা হয়, তবে রাজ্য আইনসভাই তার প্রণীত আইন দ্বারা, এই ধরনের দুর্নীতির মোকাবিলা করবে। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার একবছরের মধ্যেই তার মোকাবিলা করবে।'
দায়িত্ব রাজ্যের কাঁধে
মূলত কেন্দ্রীয় আইন, অর্থাৎ লোকপাল এবং লোকায়ুক্ত আইন, ২০১৩, প্রতিটি রাজ্যে একজন লোকায়ুক্তকে বাধ্যতামূলক করতে চেয়েছিল। যাইহোক, আঞ্চলিক দল এবং বিজেপি, যারা তখন বিরোধী ছিল, যুক্তি দিয়েছিল যে এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় চেতনার বিরোধী হবে। তারপরে, লোকায়ুক্ত আইনটি একটি বিস্তৃত কাঠামো তৈরি করে, যা রাজ্যগুলোর ওপর সুনির্দিষ্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ছেড়ে দেয়।