Advertisment

সিসিডি প্রতিষ্ঠাতার আত্মহত্যা ও সুইসাইড নোট, এবার কী?

সুইসাইড নোটে কারও নাম থাকলেই কি তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা যায় না? না। মৃত ব্যক্তিকে যে উল্লিখিত ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্থা করতেন তা প্রমাণ করতে হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Cafe Coffee Day, Siddharth Suicide

বুধবার উদ্ধার হয় কাফে কফি ডে কর্ণধার সিদ্ধার্থের মৃতদেহ

কাফে কফি ডে মালিক ভি জি সিদ্ধার্থের মৃতদেহ বুধবার কর্নাটকের একটি নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে। তার আগের দিনই একটি অর্থবাহী চিঠি মিলেছে। সে চিঠিটি তিনি লিখেছিলেন বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের। এ চিঠিকে সুইসাইড নোট বলে ধরা যেতে পারে?

Advertisment

কোনও ব্যক্তি যদি কোনও নথিতে নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে তিনি জীবন শেষ করার পরিকল্পনা করছেন, তাহলে সে নথিকে সুইসাইড নোট বলে উল্লেখ করা যেতে পারে। যদি সে নথিতে দেখা যায় যে আত্মহত্যা করার জন্য কেউ তাঁকে প্ররোচিত করেছে, তাহলে উল্লিখিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারা অনুযায়ী আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা যেতে পারে।

এই ধারায় বলা হয়েছে যদি কোনও ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন, যে বা যারা এই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে তাদের ১০ বছর পর্যন্ত কারাবাস এবং জরিমানা হতে পারে।

আরও পড়ুন, কফি দুনিয়ায় ঘুরে দাঁড়াতে আর্থিক লেনদেনের তদন্তের সিদ্ধান্ত নিল সিসিডি

আদালতে ৩০৬ ধারা প্রমাণ কঠিন বলেই ধরা হয়। যদি কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে মৃত ব্যক্তি আত্মহত্যার জন্য দায়ী করে থাকেন তাহলেই এ ধারা প্রযোজ্য হয়। সম্প্রতি মুম্বইয়ের চিকিৎসক পায়েল তড়ভির আত্মহত্যার ঘটনায় তাঁর তিন সিনিয়র চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে, কারণ পায়েল তাঁর আত্মহত্যার জন্য এই তিনজনকে সুইসাইড নোটে দায়ী করে গিয়েছিলেন।

সুইসাইড নোটে কারও নাম থাকলেই কি তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা যায় না?

না। মৃত ব্যক্তিকে যে উল্লিখিত ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্থা করতেন তা প্রমাণ করতে হবে। এই ঘটনায় দেখা যাচ্ছে সিদ্ধার্থ অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন এক আয়কর বিভাগের ডিজিকে, যিনি কেবলমাত্র তাঁর দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ ঘটনায় তাঁকে দায়ী করা যাবে না।

প্রমাণ করতে হবে যে ষড়যন্ত্রী ওই ব্যক্তিকে এতটাই হেনস্থা করছিলেন যে মৃত ব্যক্তির আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।

পুলিশ যদি সুইসাইড নোট খুঁজে পায়, তাহলে কী হবে?

সাধারণত যখন এরকম কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, পুলিশ দুর্ঘটনার মামলা দায়ের করে। যদি ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সন্দেহজনক কিছু না দেখা যায় - অর্থাৎ এটি কোনও হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা না দেখতে পায়, তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৪ ধারা অনুসারে পুলিশ শুরুতে এফআইআর না দায়ের করেই তদন্ত শুরু করতে পারে। যদি প্রাথমিক ভাবে দেখা যায় সুইসাইড নোটে যে অভিযোগ আনা হয়েছে বা পরিবারের তরফ থেকে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তাতে সারবত্তা রয়েছে, তখন পুলিশ ৩০৬ দারায় এফআইআর দায়ের করে।

৩০৬ ধারায় এফআইআর দায়ের করা মানেই কি অভিযোগ দায়ের?

না। বহু সময়েই পরিবারের দাবিতে পুলিশ এফআইআর দায়ের করতে পারে এবং চার্জশিট দাখিল করার তদন্ত করার জন্য সময় নিতে পারে।

আত্মহত্যার পরেই ৩০৬ ধারায় দায়ের করা এফআইআরের পর চার্জশিট দাখিল নাও করা হতে পারে, যদি পুলিশ মনে করে যে প্ররোচনা প্রমাণ করার মত যতেষ্ট প্রমাণাদি নেই। মুম্বইয়ের মিউজিশিয়ান করণ জোসেফ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বান্দ্রায় আত্মহত্যা করেন। সে ক্ষেত্রে ৩০৬ ধারায় এফআইআর দায়ের করা হলেও এখনও কোনও চার্জশিট দাখিল করা হয়নি।

Read the Full Story in English

Advertisment