যেসব স্যানিটাইজারে অ্যালকোহল রয়েছে, সেগুলি দিয়ে হাত ধোয়া এক কথা, কিন্তু অ্যালকোহল পান করা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। কোভিড ১৯-এর প্রকোপ ছড়িয়েপড়বার পর থেকে সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন থিওরি ও পরামর্শ ছড়িয়েপড়েছে, যাতে বলা হচ্ছে অ্যালকোহল পান করোনা সংক্রমণ আটকায়। এর ফলে ইরানে হঠাৎ অতিরিক্ত মদ্যপানে বেশ কয়েকজনের মৃ্ত্যুর খবরও পাওয়া গিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সাফ জানাচ্ছে, “মদ্যপান করোনাসংক্রমণের থেকে সুরক্ষা দিতে পারে না। মদ্যপান পরিমিত পরিমাণে করা উচিত, এবং যাঁরা মদ্যপান করেন না, তাঁদের সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য মদ্যপান শুরু করা উচিত নয়।”
অ্যালকোহল পানে যে রাসায়নিক্ বিক্রিয়া হয়, তাতে উদ্বেগ কমে। ফলে সীমিত পরিমাণে- ধরা যাক দিনে একটি বা দুটি, ধকল এবং একঘেঁয়েমি কাটাতে পারে, বিশেষ করে যাঁরা বাড়িতে আটকে রয়েছেন।
অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান করলে শরীর দুর্বল হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান করলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
অতিরিক্ত মদ্যপায়ীরা বিশেষ করে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা ও নিউমোনিয়ায় ভোগেন। এর ফলে একবার আক্রান্ত হলে তাঁদের সারতে সময় বেশি লাগে। অতিরিক্ত মদ্যপান ফুসফুসের পক্ষে ক্ষতিকর এবং করোনাভাইরাস যে যে জায়গায় আক্রমণ করে ফুসফুস তার অন্যতম।
শুধু কোভিড ১৯ নয়, যাঁদের সাধারণ সর্দিজ্বর হয়েছে, তাঁদেরও অতিরিক্ত মদ্যপান করা উচিত নয়।
বিষণ্ণতা কাটাতে অতিরিক্ত মদ্যপানের বিরুদ্ধেও সওয়াল করেন কেউ কেউ। অ্যালকোহল যেহেতু কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রীর উপর প্রভাব ফেলে সে কারণে তা উদ্বেগ কমায় বটে, কিন্তু তার মেয়াদ যতক্ষণ রক্তে অ্যালকোহল রয়েছে, ততক্ষণ। পরে রক্ত যখন অ্যালকোহলশূন্য হয়ে পড়ে তখন স্নায়ুতন্ত্র রক্তে পুরনো রাসায়নিকগুলি ফিরিয়ে আনার জন্য অতিতৎপর হয়ে পড়ে। এর ফলে মদ্যপ ব্যক্তি সম্পূর্ণ উদ্বেগাক্রান্ত হয়ে পড়তে পারেন।