মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ম্যানহাটনের এক ফৌজদারি আদালতে হাজির হন। এই মামলায় তাঁকে ২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারের সময় প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে অর্থ দেওয়ায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। এসব ঢাকতে ভুয়ো ব্যবসায়িক নথি ব্যবহার-সহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ট্রাম্প অবশ্য স্বভাবমতই যাবতীয় দোষ অস্বীকার করেছেন। অবশ্য তাঁর অভিযোগ অস্বীকারে বিশেষ একটা লাভ হয়নি। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। ট্রাম্পই প্রথম প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি হলেন।
ট্রাম্পকে কি জেলে যেতে হবে?
এটা এখনও অস্পষ্ট। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্ক দণ্ডবিধির ১৭৫ ধারায় ৩৪ ভুয়ো ব্যবসায়িক হিসেব দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর চার বছরের কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। তবে, ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাধ্যতামূলকভাবে জেলে থাকতে হবে না। এমনকী, সব ক্ষেত্রে ট্রাম্প দোষী সাব্যস্ত হলেও তাকে জেলে যেতে হবে না। কারণ, তার বিরুদ্ধে অতীতে কোনও অপরাধের নথি নেই। তিনি প্রথমবারের জন্য এমন ধারার অপরাধ করছেন। আইন বিশেষজ্ঞরা তাই বলছেন, দোষী সাব্যস্ত হলেও ট্রাম্পকে আদৌ জেলে যেতে হবে কি না, তা এখনও অনিশ্চিত।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সাতসকালে গ্রেফতার রাজ্য বিজেপি সভাপতি
ট্রাম্প কি ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন?
অবশ্যই পারবেন। তিনি গোপনে অর্থ দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেও তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে আটকানো যাবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন সংবিধানে এমনটা বলা নেই যে কেউ দোষী সাব্যস্ত হলেই তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। বরং, মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে তিনটি বিষয়কে মাপকাঠি ধরা হয়। এক- তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছেন। দুই- তাঁর বয়স কমপক্ষে ৩৫ বছর। তিন- তিনি কমপক্ষে ১৪ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা।